শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

রসনা তৃপ্তিতে হালাল চকোলেট

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে শরিয়াহ আইন অনুসারে হালাল খাবার গ্রহণ করে গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বিবেচনা করে হালাল চকোলেট প্রস্তুত করছে মালয়েশিয়া। শুধু চকোলেটই নয়, মুসলিমদের জীবনে মিষ্টতা আনতে হালাল উপায়ে সব ধরনের কোকোজাত খাদ্যদ্রব্য তৈরি করছে দেশটি। নিজ দেশে খুব একটা কোকো চাষ না করেও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কোকো পাউডার প্রস্তুতকারক দেশে পরিণত হয়েছে মালয়েশিয়া। এজন্য দেশটিকে প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদিত কোকোর ওপর নির্ভর করতে হয়। আফ্রিকার বাইরে সবচেয়ে বেশি কোকো উৎপাদন করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। তবে ইন্দোনেশিয়া নয় ক্রমবর্ধমান মুসলিম বাজার ধরতে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে মালয়েশিয়া। হালাল উপায়ে অ্যালকোহল ও কিছু প্রাণিজ উপাদানের ব্যবহার ছাড়াই চকোলেট ও কোকোজাত পণ্য উৎপাদন করে দেশটি। মালয়েশিয়ার ৫১টি চকোলেট ম্যানুফাকচারার ও কনফেকশনারি এবং ১৯৪টি স্থানীয় চকোলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বছরে ২৬ কোটি ডলারের হালাল চকোলেট বিক্রি করে। পিউ রিসার্চ সেন্টার জানায়, বর্তমান বিশ্বের দ্রæত বর্ধনশীল ধর্ম ইসলাম। ২০৫০ সাল নাগাদ মুসলিম জনগোষ্ঠী ২৮০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। মুসলিম জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হালাল খাবারের চাহিদা। ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, ২০২০ সাল নাগাদ হালাল সনদপ্রাপ্ত চকোলেটের বিক্রি ১৭০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। সব ধরনের চকোলেটের চাহিদা বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে বাড়লেও হালাল চকোলেটের চাহিদা বছরে ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। চলতি বছর এর বিক্রি গত বছরের রেকর্ড পরিমাণকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে মালয়েশিয়া। ইউরোমনিটর সিঙ্গাপুর শাখার জ্যেষ্ঠ গবেষণা বিশ্লেষক ইমির ফাজিরা জানান, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো মুসলিম অধ্যুষিত বাজার ধরতে হলে বিক্রীত পণ্যকে অবশ্যই হালাল সনদপ্রাপ্ত হতে হবে। তবে শুধু মুসলিম স¤প্রদায়ই নয় হালাল সনদপ্রাপ্ত পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় অন্যান্য ধর্মের মানুষও বর্তমানে এসব পণ্যের দিকে ঝুঁকছে। অ্যালকোহল ও প্রাণিজ উপাদান ব্যবহার না করার পাশাপাশি হালাল চকোলেট ও কোকোজাত পণ্য উৎপাদনের সব ধাপেই শরিয়া আইন মেনে চলা হয়। এমনকি উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করতেও কোনো ধরনের প্রাণিজ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা হয় না। মালয়েশিয়ার ড্যাজেল ফুড ২০০৯ সাল থেকে সম্পূর্ণ হালাল উপায়ে চকোলেট তৈরি করছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যে হালাল চকোলেট রফতানি করে কোম্পানিটি। ড্যাজেল জানায়, সম্পূর্ণরূপে হালাল উপায়ে চকোলেট তৈরি শুরু করার পর বিক্রি বেড়েছে। গত তিন বছরে ড্যাজেলের বিক্রি ২০ শতাংশ থেকে বেড়েছে ৩০ শতাংশ। চলতি বছর এ চাহিদা আরো বাড়বে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি স¤প্রসারিত হওয়ায় এসব দেশ হালাল চকোলেট রফতানিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। মালয়েশিয়ান কোকো বোর্ডের মহাপরিচালক নূরহাইনি উদীন জানান, এসব দেশের মিষ্টান্ন শিল্প ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। সেসঙ্গে মুসলিম স¤প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ছে। ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন