ইনকিলাব ডেস্ক : তিউনিসিয়ার লিবীয় সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ব্যারাকে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে এদের মৃত্যু হয় বলে তিউনিসিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন। সীমান্তের ১৮ কিলোমিটার দূরবর্তী বেন গার্ডেনের এই হামলা জেলাটিতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা। এর ফলে লিবিয়ায় ব্যাপকভাবে অগ্রসরমান আইএস-এর যুদ্ধ তিউনিসিয়ায় তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।
তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বেলহাসেন ওয়েসলাতি বলেন, সামরিক ঘাঁটির ওপর এই হামলা শুরু হয় গতকাল ভোর ৫টার পরপরই। নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা জবাবে গুলি চালালে ২১ জন জঙ্গি নিহত হয়। আটক করা হয় আরো ৬ জনকে। এই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর দু’জন কর্মকর্তা এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিকেরও প্রাণহানি ঘটে। স্থানীয় হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরও। তাদের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। সেনাবাহিনী বেন গার্ডেনে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করেছে, লিবিয়ার সাথে নিকটবর্তী সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং মাইকিং করে স্থানীয় জনগণকে ঘরে অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে অন্য হামলাকারীদের ধরতে নির্বিঘেœ অভিযান পরিচালনা করা যায়।
হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আর এটি হচ্ছে তিউনিসিয়ার কোন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রথম হামলা। তবে লিবিয়ায় তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এই হামলায় জড়িত বলে অনেকে সন্দেহ করছেন।
গত মাসে লিবিয়া সীমান্তের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে তিউনিসিয়ার সাবরাথায় আইএস’র একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মার্কিন যুদ্ধবিমানের হানায় কমপক্ষে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত বুধবার বেন গুয়েডেনের কাছে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের এক ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে ৫ জঙ্গির মধ্যে অন্তত ৪ জন প্রাণ হারায়। তারা তাদের মাতৃভূমিতে হামলার উদ্দেশ্যে লিবিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে তিউনিসিয়ায় প্রবেশ করে। জঙ্গিদের প্রবেশ ঠেকাতে তিউনিসিয়া লিবীয় সীমান্তে ২শ’ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দীর্ঘ বেড়া নির্মাণ করেছে। -সূত্র : এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন