স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাফরুলে ন্যাম গার্ডেন অফিসার্স কোয়ার্টারে জলি বেগম (২২) নামে এক তরুণীকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ হত্যাকা-ের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মিরপুর ও কাফরুল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাউন্সিলের চোয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আহসান হাবিবের বাসায় তিনি কাজ করতেন। স্থানীয়রা বলছেন, তাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। রোববার কাফরুল থানাধীন ‘ন্যাম ভবন’-এর ৩ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার একটি বাসার ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী মোছাম্মত জলির (১৩) মৃত্যু হয় বলে গৃহকর্তা দাবি করছেন। অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ ওই গৃহকর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা দিকে সড়ক অবরোধ করে তারা। কাফরুল থানার এসআই কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার শামীম হোসেন জানান, নিহত গৃহকর্মীর স্বজনদের মামলা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবুও তারা কথা শুনছেন না। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, রোববার সকালে গৃহকর্মী জলিকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। অথচ পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। হত্যা মামলা গ্রহণ ও হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করছেন তারা।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার মোহাম্মদ শামীম হোসেন জানান, ফটকের সামনে মেয়েটিকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, ন্যাম গার্ডেনের একটি ভবনের ফটকের বাইরে থেকে বেলা ১১টার দিকে জরিয়া বেগম (২২) নামে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, ওই তরুণী তার মা ফুলবানুর সঙ্গে উত্তর ইব্রাহিমপুরের একটি বাসায় থাকতেন। তিনি সকালে মায়ের বদলে কাজে যান। কাজ শেষে এক মহিলার সঙ্গে বেরিয়ে যান বলে অতিরিক্ত সচিবের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
যে নারীর সঙ্গে জরিয়া বেরিয়েছিলেন বলা হচ্ছে, পুলিশ তাকে খুঁজছে বলে ওসি শামীম জানান।
ওসি শামীম আরো জানান, মেয়েটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হাজারীবাগে পারিবারিক কলহের জের ধরে তন্দ্রা সাহা (৩৬) নামে এক গৃহবধূর ‘আত্মহত্যার’ খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, শনিবার রাত সোয়া ১টার দিকে স্বামী সুজন সাহা ও তাদের মেয়ে ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তন্দ্রা গলায় ফাঁস দেয় বলে তার স্বামী ও মেয়ে জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন