শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অ্যাটর্নি জেনারেল কে হচ্ছেন

প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শেখ জামাল : কে হচ্ছেন অ্যাটর্নি জেনারেল? বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বয়স ৬৭ বছর অতিক্রম করেছে। তার পরও স্বপদে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ৬৭ বছর অতিক্রম করার পর এই সাংবিধানিক পদে কারো বহাল থাকাটা কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয় বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা। তারা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের যোগ্যতায় নিয়োগপ্রাপ্ত একজন অ্যাটর্নি জেনারেলের সেই পদে বহাল না থাকা বা অযোগ্যতার বিষয়টিও একই পদের মাপকাঠিতে নিরূপিত হবে। অর্থাৎ ৬৭ বছর বয়সের পর তিনি আর ওই পদে থাকতে পারেন না। অতীতে দেশের কোনো অ্যাটর্নি জেনারেলই ৬৭ বছর বয়সের পর পদে বহাল ছিলেন না বলে মন্তব্য করেন আইনজ্ঞরা।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের জন্য সরকার সক্রিয়ভাবেই চিন্তাভাবনা করছে। এক্ষেত্রে কয়েকজনের নাম খুব জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী এবং একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও রয়েছেন এ তালিকায়। এছাড়াও আওয়ামী লীগপন্থী একজন প্রভাবশালী আইনজীবীও এই পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকও ছিলেন।
সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হইবার যোগ্য কোন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগদান করিবেন।’ সংবিধানের এই বিধানের আলোকে বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ করেন। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বিচারক হওয়ার যোগ্যতা যখন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়, সঙ্গত কারণেই ৬৭ বছর বয়সের পর বিচারকের একই যোগ্যতার মাপকাঠিতে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ওই পদে বহাল থাকতে পারেন কি না।
সাবেক একজন অ্যাটর্নি জেনারেল নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে যখন অন্য কোনো পদের যোগ্যতাকে মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করা হয়, সেই পদে বহাল না থাকার ক্ষেত্রে অর্থাৎ অযোগ্যতার ক্ষেত্রেও একই পদের মাপকাঠি সমভাবে প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত বহাল থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করে এই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচারক নিয়োগ করা হলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে পদ্ধতিগত বিষয় অনুসরণ ছাড়া বিচারককে অপসারণ যায় না। কিন্তু আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলে যেকোনো মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের অসন্তোষের ভিত্তিতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার কথাই বলা হয়েছে এখানে। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলেন, ৬৭ বছর অতিক্রম করার পর এই সাংবিধানিক পদে কারো বহাল থাকাটা কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহ্দীন মালিক ইনকিলাবকে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অবসরে যাওয়ার বিষয়ে সংবিধানে কোথাও বলা নেই। একইভাবে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনার, এমপির বিষয়ে কোথাও বলা নেই।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ইনকিলাবকে বলেন, এই পদে অবসরের কোনো বয়স নেই। এই পদের কোনো মেয়াদও নেই। বিচারক হওয়ার যোগ্যরা এখানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। আর এখানে কতদিন একজন দায়িত্ব পালন করবেন, তা নির্ভর করে প্রেসিডেন্টের সন্তোষের উপর। প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা করলে পরের দিনও কাউকে সরিয়ে দিতে পারেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল পদে পুনরায় নিয়োগ দেয়ার সুযোগও সংবিধানে নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Md. Abdur Rashid ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০৮ পিএম says : 0
আমার মতে, বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী
Total Reply(0)
Mostafa Kamal ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:১১ পিএম says : 0
ata khub vital post , tai khube vebe niog dite hobe.
Total Reply(0)
Kamal ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:১৩ পিএম says : 0
এবার হয়তো অতীত রেকর্ড ভঙ্গ হবে।
Total Reply(0)
Saidur Rahman ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:১৩ পিএম says : 1
ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন