৫. ছারিয়্যা মাইফাআ
সপ্তম হিজরীর রমযান মাস
গালিব ইবনে আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এই ছারিয়্যা বনু আউয়াল এবং বনু আবদ ইবনে ছালাবা গোত্রকে শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠানো হয়। অপর এক বর্ণনায় জুহাইনা গোত্রের হারকাত শাখার লোকদের শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠানো হয় বলে উল্লেখ রয়েছে। এতে মুসলমানের সংখ্যা ছিলো একশত ত্রিশ। এরা শত্রুদের উপর একযোগে হামলা করেন। যারা মাথা তুলছিলো তাদেরই হত্যা করা হচ্ছিলো। এরপর ভেড়া ও বকরিসহ পশুপাল হাঁকিয়ে নিয়ে আসেন। এই অভিযানেই হযরত উছামা ইবনে যায়েদ (রা.) নুহায়েক ইবনে মারদাস নামক এক ব্যক্তিকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা সত্তে¡ও হত্যা করেছিলেন।
এ খবর শুনে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, তুমি কেন তার বুক চিড়ে জেনে নাওনি, সে সত্য ছিলো, নাকি মিথ্যা ছিলো? আর রাহীকুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ : খাদিজা আখতার রেজায়ী
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
প্র:- যদি কোন মহল্লাতে দুটি মসজিদ থাকে, তবে কোন্টিতে নামায পড়া উত্তম হবে?
উ:- যে মসজিদটি নিজ বাসস্থানের কাছে অথবা যেটি প্রাচীন।
প্র:- পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে জামাআতের গুরুত্ব কতটুকু?
উ:- জামাআত পড়া সুন্নতে মুআক্কাদাহ। বিনা কারণে জামাআত ত্যাগ করলে গোনাগার হতে হবে।
প্র:- কি কি কারণে জামাআত ত্যাগ করা যায়?
উ:- ১. অসুস্থতা। ২. বৃষ্টি এবং রাস্তায় কাদা জমা। ৩. প্রচন্ড শীত। ৪. তীব্র অন্ধকার। ৫. রাতে ঝড় আসলে। ৬. চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আশংকা। ৭. অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় নিয়োজিত থাকলে। ৮. ক্ষুধার সময় খানা হাজির হলে। ৯. ফিক্হের মাসআলাহ নিয়ে আলোচনারত থাকলে। ১০. বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ও অসুস্থতা। ১১. ঘুম, অজ্ঞানতা ও ভুলে যাওয়া। ১২. মসজিদে যাওয়ার পথে শত্রæর সম্মুখীন হওয়ার আশংকা। ১৩. পেশাব-পায়খানার বেগ বেশি হলে। ১৪. সফরে রওনার সময় সঙ্গী-সাথী বা যানবাহন ফেল করার আশংকা থাকলে।
প্র:- জুমা এবং দুই ঈদের নামাযে জামাআতের গুরুত্ব কতটুকু?
উ:- জামাআত হওয়া শর্ত। জামাআত ছাড়া এসব নামায আদায় হবে না। (গায়াতুল আওতার)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন