শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসায় সাধারণ মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : নাশকতা বা বিশৃংখল পরিবেশ ছাড়াই নিরাপদে ঈদ উদযাপন করেছে সারাদেশের মানুষ। বসতবাড়ি, রাস্তা, মার্কেটসহ সর্বত্র আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সর্তকতায় প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সকলের প্রতি আস্থা বেড়েছে। অন্যান্য নিরাপত্তার সাথে সাথে যানবাহন, রেল ও নৌপথে চলাচলের ক্ষেত্রে র‌্যাব-পুলিশের সক্রিয় পদক্ষেপ ছিল লক্ষনীয়।  বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত পদক্ষেপ, গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয় এবং সাধারণ জনগনের সহযোগিতায় এ সফলতা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সা¤প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। দেশের অগ্রগতি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বড় ধরনের অন্তরায়। সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমনে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে কোনো রকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছাড়াই সারাদেশে নিরাপদে ঈদ উদযাপন শেষ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট্র সবাইকে ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঈদে মানুষের ঘরে ফেরার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঈদকে সামনে রেখে নিরাপত্তা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি আগে থেকেই নেয়া হয়েছে।  যাত্রাপথে কোন ধরনের সমস্যা যাতে না হয় সে প্রস্তুুতিও আমাদের ছিল। ঈদে ঘরে ফেরা নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অমানুষিক পরিশ্রম করেছে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যানজট নিরসন এবং হাইওয়েগুলো পরিষ্কার রাখা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা যথাযথভাবে পালন করেছে বলে আমরা মনে করছি।
র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের দায়িত্ব সাধারন মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ঈদকে সামনে রেখে সরকারের নির্দেশনায় আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। দেশের জনগন নিরাপত্তায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। নাগরিকদের নির্বিঘেœ বাড়ি যাওয়া এবং বাড়ি থেকে ফেরার ক্ষেত্রে রাস্তায় সক্রিয়ছিল সংশ্লিষ্ট্ররা। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত পদক্ষেপ এবং জনগনের সহযোগিতায় এ সফলতা এসেছে বলে বেনজীর আহমেদ মনে করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে গতকাল সকাল ১০ টায় ডিএমপি’র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন-  এবারের ঈদে সারা বাংলাদেশের আইন শৃংখলা, জননিরাপত্তা অত্যান্ত ভালো ছিল। সব শ্রেণী পেশার মানুষ আমাদের ভূমিকাকে প্রশংসা করেছে। রমজান, রথযাত্রা ও ঈদ কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় সম্পন্ন হয়েছে। ডিএমপি’র সদস্য আপনারাই রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতিত কোন রকম চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মত ঘটনা ঘটতে দেননি। আমরা দায়িত্ব পালনকালে অনেকে ঈদের নামাজ, তারাবির নামাজ আদায় করতে পারিনি। আমাদের ডিউটি ইবাদতের সমতুল্য। মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া বড় ইবাদত।
ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া গতরাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা জনগনের নিরাপত্তায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সকল মানুষ আমাদের পদক্ষেপে নিরাপদে ঈদ করতে পেরেছে এটাই বড় কথা।
গতকাল দুপুরে কমলাপুরে কথা হয় ময়মনসিংহ থেকে ঈদ করে ফিরে আসা ব্যবসায়ী নূরুল আমিনের সাথে। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন বাস যোগে বাড়ি যান আপনজনদের সাথে ঈদ করে। রাস্তায় যানজট থাকলেও পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা রোজা রেখে যানবাহন চলাচলে যে সাহায্য করেছেন তা ভাল লেগেছে। ঈদের আগে পরে নিরাপত্তা নিয়ে শংকা থাকলেও কোন দুঘটনা ঘটেনি। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তায় এ সফলতা এসেছে বলে তিনি মনে করেন। সূত্র জানায়, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। ঈদকে সামনে রেখে ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে নৌপথ ও রেল পথের নিরাপত্তায়ও সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। র‌্যাব-পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তায় একদিকে যেমন আশস্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। অন্যদিকে নিরাপত্তা নিয়েও মানুষের মধ্যে আতংক কমে অনেকাংশে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন