কর্পোরেট রিপোর্ট : শেষ হলো তিনদিনের পাটপণ্য প্রদর্শনী। বাহারি পাটপণ্য দিয়ে মনোরমভাবে সাজানো এ মেলা রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করেন। দেশি-বিদেশি ক্রেতারা বৈচিত্র্যময় রকমারি পাটপণ্যের প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হয়েছেন। পাট শিল্পের উদ্যোক্তারা আর পাটের দড়ি, ব্যাগ ও বস্তা তৈরিতে সীমাবদ্ধ নেই। তারা এখন তৈরি করছেন রকমারি পণ্য। নকশা করা পাটের ল্যাম্পশেড, পাটের তৈরি ডাইনিং টেবিল, দেয়ালে ঝুলানোর পাট পকেট, বসার জন্য পাটের টুল- কী ছিল না সেখানে। সব ছিল। নানা নকশার জুতা, বেডশিট, কভার ও কুশনে সাজানো বিছানা। এর সব কিছুই পাটের তৈরি, এমনকি পাশের জানালার পর্দাও পাটের তৈরি। যারা এখানে এসেছেন তারাই মুগ্ধ হয়ে দেখছেন। উদ্যোক্তারা বলেছেন, এ পণ্যের যত চাহিদা বাড়ছে ততই নতুন পণ্য তৈরি করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। প্রদর্শনীতে পাটের তৈরি জামদানির চাহিদা ছিল বেশ। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্যোক্তারা। প্রদর্শনীতে শুধু পাট নয়, প্লাস্টিক ও পাটের সমন্বয়ে তৈরি পণ্যও প্রদর্শন করা হয়েছে। এ মেলার আয়োজন করেছে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)। এফবিসিসিআইর অপ্রচলিত পণ্য রফতানিবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও ক্রিয়েশনের এমডি মো. রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, পাটপণ্য এখন আর গতানুগতিক উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নেই। এখন বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের গন্তব্যে পৌঁছেছে। পাটের শাড়ি, টেবিল ম্যাট, শতরঞ্জি, বাস্কেট, ল্যাপটপ ব্যাগ, জুতো, গিফট আইটেমসহ প্রায় ৪০০ আইটেমের পাটজাতপণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করে জারমাটজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাত জেরিন খান বলেন, আমরা নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করি। জার্মানি, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি করা হয়। এ ধরনের মেলা পাট শিল্পের সোনালী যুগ ফিরিয়ে আনবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মেলায় দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন সামগ্রীতে চোখ জুড়িয়ে যায়। দৃষ্টি কেড়ে নেয় পাটের তৈরি ফতুয়া, ওড়না, দরজা-জানালার পর্দার কাপড়, শো’পিস, পাপোস, পাটের কাগজ দিয়ে তৈরি কার্ড, কার্পেট, টিস্যু বক্স, ঝুড়ি, সুতা, পুতুল, ছোটদের খেলনা, দেয়ালের চিত্রকর্মসহ নানা ধরনের সামগ্রী। পাট দিয়ে তৈরি বাহারি পণ্য দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও। অনেকেই বলেন, পাটের তৈরি পণ্য এতোটা নিখুঁত এবং সুন্দর হয়- তা আসলেই দেশের মানুষের কাছে অজানা। পাটপণ্যের যথাযথ বিজ্ঞাপন হলেই এসবের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়বে। শুধু পরিবেশ প্রেমিকরাই নয়, গুণগত মান ও নান্দনিক সৌন্দর্যের কারণে দেশী-বিদেশী যে কারও মন কাড়বে এসব পণ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন