ইনকিলাব ডেস্ক : নিজেদের দেওয়া ১৩টি দাবি মানতে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশ কাতারকে অতিরিক্ত আরো ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছে সউদী আরব ও অন্য তিনটি আরব দেশ। ওই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে দেশটির ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন ওই আরব দেশগুলো, জানিয়েছে বিবিসি। এক মাস আগে সন্ত্রাসবাদের তহবিল যোগানোর অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে করে বাণিজ্য ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কাতারের প্রতিবেশী সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরায়েন ও মিসর। এরপর সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার শর্ত হিসেবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস, তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ ও আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারের কাছে ১৩টি দাবি পেশ করে ওই আরব দেশগুলো।
২৩ জুন ওই দাবিগুলো মানার জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেয় তারা। রোববার রাতে ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এর মেয়াদ আরো দুই দিন বাড়িয়েছে দাবি পেশকারী দেশগুলো। অপরদিকে সন্ত্রাসবাদে তহবিল যোগানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার।
দেশটি জানিয়েছে, সরকারিভাবে একটি চিঠির মাধ্যমে দাবিগুলোর বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া সোমবার দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী আরব রাষ্ট্র কুয়েতকে জানাবে তারা। চিঠিটি দিতে সোমবার সকালে কুয়েতে যাওয়ার কথা কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আল থানির। শনিবার আল থানি জানিয়েছিলেন, কাতার সউদী জোটের দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্তু যুক্তিযুক্ত শর্ত নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত আছে। সম্পর্কচ্ছেদ করার পর থেকে নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কাতারকে চাপে রেখেছে সউদী আরব ও তার মিত্র আরব দেশগুলো। বুধবার তাদের বাড়ানো সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক করবেন ওই চার আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সউদী জোটের দেওয়া ১৩ দফা শর্ত নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে কুয়েতে পৌঁছেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি। কুয়েত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াসম্বলিত নথি হস্তান্তর করবেন তিনি। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কাতারকে ১৩টি শর্ত আরোপ করা দেশগুলোর মধ্যে সউদী আরব ছাড়াও রয়েছে মিসর, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বুধবারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
কাতারের সঙ্গে সউদী জোটের সা¤প্রতিক উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা করছে কুয়েত। আর সেকারণে দেশটির কাছেই আনুষ্ঠানিক জবাব হস্তান্তর করছে দোহা। এখনও তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার বিষয়বস্তু সম্পর্কে না জানা যায়নি। তাই কাতার আদতে শর্তগুলো নিয়ে ঠিক কি অবস্থান নেবে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে হোয়াইট হাউসের সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার কায়রোতে সউদী জোটভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকে কাতারের এই আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াই হবে প্রধান আলোচ্য। সূত্র : ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন