স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কাঁদতে দেখা যায়। কিন্তু গ্রেনেড হামলা ও পেট্রোল বোমা হামলায় হতাহতদের জন্য তাকে কাঁদতে দেখিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি যেভাবে দেশে আগুন-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চালিয়েছে, তা অন্য দেশে হলে এত দিনে দলটি নিষিদ্ধ হতো। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের রাজনীতি এবং নতুন প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে আওয়ামী প্রজন্ম লীগ।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সব নেতা হচ্ছেন পেট্রোলবোমা বাহিনীর নেতা। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার রাজনীতি যারা করে, বাংলাদেশ বলে তারা এখনও রাজনীতি করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ হলে এই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হতো। এই কর্মকান্ডের জন্য একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তাদের কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতো। তাদের নেতৃবৃন্দকে অনেক আগেই কারাগারে যেতে হতো। বাংলাদেশে সেটি এখনো হয়নি।
মির্জা ফখরুলের কান্নার সমালোচনা করে হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের এটা কান্না না মায়াকান্না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। কেননা যিনি মানুষের কষ্ট দেখে ব্যথিত হন তিনি সব মানুষের কষ্ট দেখেই ব্যথিত হন। তিনি বলেন, যারা গ্রেনেড হামলা ও পেট্রোলবোমা হামলায় হতাহত হয়েছিলেন তাদের জন্য তো আপনাদের কখনো কাঁদতে দেখিনি। আর এখন দলীয় সন্ত্রাসীদের জন্য কান্নাকাটি করছেন।
প্রধান বক্তা খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে সে সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
কামরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে কামরুল বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো গণতান্ত্রিক দলের সংলাপ হতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গেও বিএনপির কোনো সংলাপ হবে না।
সংগঠনের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের উপদেষ্টা সৈয়দা রোকেয়া বেগম, মুন্সি এবাদুল হক, মেজবাহ উদ্দিন শফি, মো. শরীফ আহম্মেদ ও মো. কামরুল হাসান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন