ছালাহউদ্দিন, আরব আমিরাত থেকে : এমনিতেই ফুল সবার কাছেই পছন্দের প্রতীক। আর তা যদি হয় একই জায়গায় দুর্লভ ফুলসহ হাজারো প্রজাতির মিলিয়ন মিলিয়ন ফুলের অপরূপ সমাহার তবে তো কথাই নেই। এমনই অপূর্ব সাজে সুসজ্জিত একটি ফুলের বাগানের নাম মিরাকল গার্ডেন। এ বাগানটি বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী দুবাইয়ে। ২০১৩ সালে উন্মুক্ত করা এ বাগানটি ইতোমধ্যে স্থান করে নিয়েছে ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকেও।
অনাবিল শান্তির স্পর্শ পেতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড় জমে ওঠে এ বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য, অবলোকন আর হরেক রকম ফুলের সুগন্ধ উপভোগ করতে। ছুটে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরাও। সাজানো গুছানো অত্যন্ত মনোরম পরিবেশের এ বাগানটিতে প্রবেশ করতেই থরে থরে ফুল আর ফুলের সৌরভে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে যেকোনো লোকেরই। মনে হবে যেন ব্যস্ত জীবনে প্রবেশ করা হয়েছে অনাবিল শান্তির এক জগতে। না দেখলে বুঝা যাবে না এ বাগানটির আসল রূপ, অনুভূতি আর কদর সম্পর্কে। সত্যিই এ যেন এক অপূর্ব সৃষ্টি।
ফুলের পাশাপাশি এ বাগানে সাজানো রয়েছে কৃত্রিম আকারের ছোট পাহাড়, হৃদ, পানির ফোয়ারা, রয়েছে তাজা ফুল দিয়ে সজ্জিত প্রতীকী চিহ্ন গাড়ি, নৌকা, ময়ূর, বক, ছোট ছোট কুঁড়েঘর, দুবাইয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ আল-খলিফা। এমনকি আমিরাতের শাসক থেকে শুরু করে অনেকের ছবি সাজানো রয়েছে তাজা ফুল দিয়ে, যা বিনোদনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণে বাড়তি আর এক আয়োজন। বাগানের প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. আইমন আহমদ জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুলের বাগান থাকলেও এটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী ও বিরল। কারণ এ বাগানটিতে রয়েছে দুলর্ভ প্রজাতির ফুলসহ হরেক রকম প্রজাতির ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি ফুলের অপূর্ব সমাহার। তা ছাড়া ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর বাগানটির বৈশিষ্ট্য ও আপন মহিমায় ইতোমধ্যে ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকেও স্থান করে নিয়েছে। দুবাই ল্যান্ডে অবস্থিত এ বাগানে কর্মরত রয়েছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। তারা ইনকিলাবকে জানান, এটি ফুলের বাগান নয় যেন স্বর্গবাস, এখানে চাকরি করতে পেরে নিজেদেরকেও ধন্য মনে করছেন তারা। তাদের মতে, বাণিজ্যিকভাবে এ রকম চমৎকার ফুলের বাগান বাংলাদেশেও করা যেতে পারে। মরুর বুকে এমন অপরূপ আয়োজনে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন