শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

নয়াদিল্লিকে আবারো সতর্ক পাকিস্তানের

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানি সেনা বহনকারী একটি গাড়িতে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিকে আবারো সতর্ক করল ইসলামাবাদ। একটি বিবৃতিতে পাকিস্তান বলেছে, এরকম উস্কানিমূলক চেষ্টা ভবিষ্যতে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বড় ধরনের সামরিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সরবরাহ লাইন লক্ষ্য করে ঐ হামলার পিছনে কোনো কৌশলগত উদ্দেশ্য আছে কিনা তার প্রতি সন্দেহ উত্থাপন করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি মিলিটারি অপারেশনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাঈদ শামসাদ মির্জা সা¤প্রতিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষের সাথে ফোনালাপের সময় এই সতর্কবাণী উচ্চারন করেন। ভারতীয় সেনারা রোববার আতমুকেম এ নীলাম নদীর পাশে যাত্রার সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আক্রমণের ফলে গাড়িটি নদীতে পড়ে যায় এবং এর ফলে চারজন সৈন্য নিহত হয় এবং এক বেসামরিক পথচারীও মারা যায়। ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস’র (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান ডিজিএমও আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় ডিজিএমও’র কাছে পাকিস্তানি সেনার উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে যেখানে ৪ জন সেনা ও এক বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছে। পাকিস্তানের ডিজিএমও কমান্ড সেনাবাহিনীর অধীন কৌশলগত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিয়ে বলেছেন, এগুলোই বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের কাজগুলোতে উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে যা পরে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। মেজর জেনারেল শাহজাহাদ তার ভারতীয় প্রতিপক্ষকে এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সাবধান করে দেন। সেনাবাহিনীর মিডিয়া বিভাগের মুখপাত্র ডিজিএমও এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, আমরা একে অপরের সরবরাহ বিঘœ করার মত পরিস্থিতির দিকে আগাতে চাই না, কিন্তু এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে আসবে। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এই উত্তেজনা অনেক মাস ধরেই চলছে। দুই দেশের বাহিনী প্রায়ই বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলের বিভক্ত বিচ্ছিন্ন সীমারেখা বরাবর গুলি বিনিময় করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়, আইএসপিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর জানান, ভারতীয়দের দ্বারা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা পূর্ববর্তী সকল রেকর্ড ভেঙ্গেছে। সামরিক মুখপাত্র বলেন, এই বছরেই ভারতীয় সেনারা ৫৮০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যা দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে, ভারতের এই যুদ্ধমান অবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য কাশ্মীরের বর্তমান বিদ্রোহ থেকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করা যেখানে গত জুলাই মাসে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে কাশ্মীরি নেতা বোরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Samir Khan ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১১:৪৮ এএম says : 2
ভন্ডামি ছাড়, গো হত্যা নামে মুসলিম হত্যা করা বন্ধ কর, নাইলে ভোগ আছে তোদের কপালে, ভোগ তো দুইটা সামনে চীন , পাকিস্তান।
Total Reply(0)
sallauddin ২৫ জুলাই, ২০১৭, ৩:৪১ পিএম says : 0
ভারত এর কপালে অনেক দুঃখ আছে মুসলিম কাকে বলে এখনও জানোনা তবে জান বা
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন