ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
১. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করলে মানুষ বিপথগামী হতো না। ইসলামী শিক্ষা না থাকায় সর্বত্র মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ ক্রমেই নৈতিকতাহীন হয়ে পড়ছে। পারিবারিকভাবেও এর প্রভাবে মানুষ দিশেহারা। তিনি বলেন, প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার অভাবেই মানুষ জঙ্গিবাদের মতো পথ বেছে নিতে দ্বিধা করে না। সরকার সিলেবাসে হাত দেয়ার কারণে এবং শিক্ষানীতি থেকে ইসলাম বাদ দেয়ার কারণে সর্বত্র মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। এ থেকে বাঁচতে হলে শিক্ষানীতি সংশোধন করতে হবে, শিক্ষাআইন ২০১৬ বাতিল করতে হবে এবং সিলেবাস থেকে ইসলামবিরোধী সকল গল্প-কবিতা বাদ দিতে হবে।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও ইমামগণ নসিহত পেশ করেন। মূর্তির সংস্কৃতি ইসলামবিরোধী। যারা মূর্তির সংস্কৃতি লালন করে তারা ঈমানদার হতে পারে না।
২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, হোলি উৎসবের নামে নতুন করে যৌন-উৎপীড়নের ঘটনা ৯২ ভাগ মুসলমানকে দারুণভাবে মর্মাহত ও ব্যথিত করেছে। এভাবে প্রকাশ্যে পর্দানশীন নারীদের উৎপীড়নের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দেশবাসী যখন গ্রিকমূর্তি অপসারণের আন্দোলনে ব্যস্ত ঠিক সে মুহূর্তে হোলি উৎসবের নামে অশ্লীলতার ছড়াছড়ি সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে হোলি খেলার নামে যৌন উৎপীড়নকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা নীরবে বসে থাকবে না।
জামেয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম
শতাব্দীর প্রাচীনতম ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র চট্টগ্রাম নাজিরহাট জামেয়া আরবিয়া নছিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসার ২ দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীস আলামা শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ালম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির পীরে কামেল শায়খুল ইসলাম আলামা শাহ আহমদ শফী।
ওয়াজ করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আলামা মো. জুনায়েদ বাবুনগরী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, আলামা আবদুল বাসেত খান, আলামা সলিমুল্লাহ, মাওলানা মোস্তফা নুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা সালাউদ্দীন নানুপুরী, শায়খুল হাদীস বাহরুল উলুম আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা শাহ সিদ্দিক আহমদ, মুফতী হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা ইছমাঈন খান, হাফেজ এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা সালাউদ্দীন দৌলতপুরী, মাওলানা জালাল আহমদ, মাওলানা নুরুল আলম নছিরী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা হাজ্বী ইউছুপ, মুফতী রবিউল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিছ, মুফতি আবদুল হাকিম প্রমুখ। আল্লামা শাহ আহমদ শফী তার বক্তব্যে বলেন, পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আদর্শ মেনে চললে আলাহতায়ালা বান্দাদের জান্নাত প্রদান করবেন। আল্লাহর এই ওয়াদা রয়েছে। জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর দরবারে তাওবা ইস্তেগফার করা বান্দার দায়িত্ব। তওবা করলে আল্লাহ খুশী হন। যিকির করলে আল্লাহর সন্তষ্টি লাভ করা যায়। তাই সকাল সন্ধ্যা যিকির করতে বলেছেন আল্লাহতায়ালা। যিকিরের দ্বারা অন্তর পরিষ্কার হয়। আল্লাহর অলি হওয়া যায়।
তিনি সকলকে সুন্নতের ওপর আমল করার জন্য আহŸান জানান। সাথে সাথে সকলকে দৈনিক সকাল সন্ধ্যা একশতবার করে দরুদ শরিফ পড়ার জন্য আহŸান জানান। সকল অলি বুযুর্গ এই আমল করে থাকেন। যার কারণে আমল কবুল হয়।
আলামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামী বিধান কায়েম করা কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন না করলে আল্লাহ দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, শরিয়ত বিরোধী সকল কার্যকলাপ অবশ্যাই বন্ধ করতে হবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন