শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ ও জুমার নামাজে বাধা এবং ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় দেশটির সঙ্গে রাজনৈতিকসহ সবধরনের যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার টেলিভিশনে প্রদত্ত এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে মাহমুদ আব্বাস এই ঘোষণা দেন। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নিরাপত্তায় কড়াকড়ির আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দিনভর ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর আব্বাস এই ঘোষণা দেন। স¤প্রতি সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের গুলিতে ইসরাইলের দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল-আকসা মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেকটর বসায় ইসরাইল। দেশটির এমন উদ্যোগকে আল-আকসার উপর নিয়ন্ত্রণের চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি আরবরা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে হতাহত হয় শতাধিক ফিলিস্তিনি। অপর এক খবরে বলা হয়, দুই ইসরাইলি পুলিশ নিহতের ঘটনায় গত সপ্তাহে পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ বন্ধ করা দেয়ার পর থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্ব›দ্ব বেড়েই চলেছে। এর ধারাবাহিকতায় রামাল্লাহর ওয়েস্ট ব্যাংক ও হালামিশ এলাকায় ইসরাইলি বসতিতে গত শনিবার ছুরি নিয়ে চালানো হামলায় তিন ইসরাইলি নিহত ও একজন আহত হয়েছে। ১৪ জুলাই পুলিশ হত্যার ঘটনায় পরে পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হামলাকারী তিনজনকে প্রথমে ইসরাইলি আরব বলা হলেও পরে নিশ্চিত করা হয় তারা ফিলিস্তিনি। ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট এবং মুসলিমদের কাছে হারাম আল শরিফ নামে পরিচিত ওই স্থানটিতে হামলার পর কাছে থাকা আল-আকসা মসজিদ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয় ইসরাইলি পুলিশ। এর দু’দিন পর মসজিদ খুলে দিলেও ইসরাইল কর্তৃপক্ষ নতুন ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করে মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায়। জায়গায় জায়গায় বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর। দশ উল্লেখযোগ্য ফিলিস্তিনি নেতাসহ বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান ফিলিস্তিনি ব্যক্তিত্বকেও আটক করা হয়। অন্যদিকে মুসলিমদের মসজিদ প্রাঙ্গণের গেটের বাইরে নামায আদায় করতে বলা হয়। এরপরও মসজিদে ঢুকতে চাইলে কড়া তল্লাশি পেরিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের আরোপিত অতিরিক্ত নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়মকানুনের প্রতিবাদে ১৪ তারিখে শুরু হয় বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনি মুসলিমরা মেটাল ডিটেক্টর পেরিয়ে মসজিদে ঢুকে নামায পড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের দাবি, মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে সব মেটাল ডিটেক্টর তুলে নিতে হবে। কিন্তু ইসরাইলের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সি শিন বেত মেটাল ডিটেক্টরগুলো সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিলেও স্থানীয় পুলিশ বলছে, এখনই সেগুলো সরানো যাবে না। এ ঘটনাকে পবিত্র স্থানটির ওপর ইসরাইলের অনধিকার নিয়ন্ত্রণ আরোপ হিসেবে দেখছে ফিলিস্তিনিরা। তার ফল হিসেবেই ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভে নামে তারা। তবে ইসরাইল এ ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আনাদোলু, রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সোহানুর রহমান ২৩ জুলাই, ২০১৭, ১:৩৬ পিএম says : 0
আরে ভাই যোগাযোগ বন্ধ করে তো লাভ নেই বাঁচতে হলে যুদ্ধ ঘোষনা কর
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন