মো: সাদাত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে : বান্দরবানে আবারও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ভারী বর্ষণে গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বান্দরবান-রুমা সড়কের বার মাইলের দৌলিয়ান পাড়া এলাকায় ভাঙা রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পাহাড় ধসে নিখোঁজ পাঁচ জনের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর নাম চিং মে হ্লা মার্মা (১৯)। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং গাড়ীর ১১ যাত্রী আহত হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- কৃষি ব্যাংকের রুমা শাখার সেকেন্ড অফিসার গৌতম নন্দী, সিংমে মারমা, স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নী বড়–য়া ও রুমা পোস্ট মাস্টার রবিউল।
সেনাবহিনীর প্রকৌশল বিভাগ ১৯ ইসিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইফতেখার ঘটনাস্থল থেকে জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। কমপক্ষে পাঁচজন মাটিচাপা পড়ে থাকতে পারেন। এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেলা ১১টার দিকে বান্দরবান থেকে রুমা উপজেলার পথে এবং রুমা থেকে বান্দরবানের দিকে দুটি যাত্রীবাহী বাস বার মাইলের দৌলিয়ান পাড়া এলাকায় আসে। এ এলাকা আগেই পাহাড় ধসে ভেঙে যায়। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলে না। ফলে যাত্রীরা এখানে নেমে হেঁটে এলাকাটি অতিক্রম করে পুনরায় যানবাহনে উঠেন। রোববার সকালেও দুই বাসের যাত্রীরা সেভাবেই ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময়ই তাঁদের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। সাথে সাথে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। পাঁচ বাসযাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান একটি বাসের হেলপার স্বপন দাস। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। এখনো ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
পাহাড় ধসের ঘটনা পরিদর্শনে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার যুবায়ের সালেহীন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রবল বর্ষণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ১২ জুন অবিরাম বৃষ্টির কারণে বান্দরবান-রুমা উপজেলা সড়কে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন