স্টাফ রিপোর্টার : জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ পথে বাধা এবং নামাজী মুসলমানদের উপর ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, ঈমানী দায়িত্বে বিশ্ব মুসলমানদেরকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পাশে দাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ পথে বাধা এবং নামাজী মুসলমানদের উপর ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল অন্যায় ভাবে মসজিদে প্রবেশ পথে বাধা এবং নামাজী মুসলমানদের গুলী চালিয়ে হত্যা করে আবারো বর্বরতা চালাচ্ছে। ইসরাইল কতৃক নির্বিচারে মুসলিম হত্যা বিশ্ব বিবেককে ভাবিয়ে তুলেছে। ইসরাইলী হায়ানাদের হিংস্রতার ছোবলে ফিলিস্তিনি মুসলমানরা এখন ক্ষতবিক্ষত। মজলুম, নিরাপরাদ ফিলিন্তিনি মুসলমানদের পাশে দাড়ানো বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহানগর
মসজিদে আক্সার প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে এবং তলাশি চালিয়ে মুসলীদেরকে জুমার নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়ার অর্থই হচ্ছে বিশ্ব মুসলমানদের হ্নদয়ে শেলাঘাত করা এবং বিশ্ব পরিস্থিতিকে নতুনভাবে অশান্ত করা। এ কাজ তারা ক্রমাগতভাবেই যাচ্ছে। ইহুদীদের আগ্রাসী ও সন্ত্রাসী এ মনোভাবের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বিশ্ব মুসলিমকে সোচ্চার হতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন মসজিদে আকসার ইমাম ও নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইলী ইহুদীদের এই নির্মম হামলা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশারই অংশ। মাওলানা আফেন্দী আরো বলেন, এতে করে তারা সন্ত্রাসবাদকে নতুন করে উস্কে দিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে নিজেদের অসৎ স্বার্থ উদ্ধারের পাঁয়তারা করছে। অল্প কিছু দিন পূর্বে ইরাকের মসূল শহরের ঐতিহ্যবাহী গ্রান্ড নূর মসজিদ ধবংশ করাও ঐ নীল নকশারই অংশ। মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের ক্রমাগত এ অমানবিক নির্যাতন বন্ধে মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের জরুরী ভিত্তিতে আলোচনার টেবিলে বসা অপরিহার্য।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, মসজিদে আকসা ঘিরে রেখে মুসল্লীদের নির্বিচারে নির্যাতন করে ইসরাইল তাদের পুরাতন চরিত্রের বহিপ্রকাশ ঘটিয়েছে। মসজিদ আল্লাহর ঘর এ ঘরের রক্ষণা-বেক্ষণ করা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। সুতরাং মসজিদে আকসা মুক্ত করতে বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার হতে হবে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মসজিদে মুসল্লীদের আসতে বাধা দেয়া ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই। সুতরাং মসজিদে আকসার সকল প্রবেশদ্বার খুলে দিতে হবে অন্যথায় বিশ্বের সকল মুসলমান ইসরাইলী আগ্রাসণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন