শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্পোরেট

অ্যালায়েন্সও তালিকা দেবে সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানার

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানার তালিকা দেবে অ্যালায়েন্স। চলতি সপ্তাহে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএকে এ তালিকা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকেও সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানার একটি তালিকা বিজিএমইএকে দেয়া হয়েছে। ওই তালিকায় থাকা কারখানার মালিকদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক শুরু করেছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানার তালিকা আমরা অ্যালায়েন্সের কাছেও চেয়েছি। তালিকা পাওয়া গেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে। চলতি সপ্তাহে এ তালিকা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর ইউরোপ ও আমেরিকাভিত্তিক ক্রেতাদের উদ্যোগে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম শুরু করে। এ দুটি জোট মূলত তাদের ক্রেতাদের অর্ডার সরবরাহ করে এমন কারখানার অগ্নি, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তামান পরিদর্শন শেষে ত্রুটি চিহ্নিত করে তা সংস্কারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়। আগামী ২০১৮ সাল নাগাদ তাদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার বিজিএমইএ ভবনে এক বৈঠকে অ্যালায়েন্সের তালিকা দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
বিজিএমইএ’র কাছে দেয়া অ্যাকর্ডের তালিকা অনুযায়ী, অ্যাকর্ড প্রায় ১৩ শতাধিক কারখানা পরিদর্শন শেষে সংস্কারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু অ্যাকর্ডের তালিকা অনুযায়ী, দুই বছর পার হলেও ৫২২টি কারখানা এখনো ৪০ শতাংশ সংস্কার কাজও সম্পন্ন করতে পারেনি। এর মধ্যে দুইশ’ কারখানা রয়েছে যাদের সংস্কারের অগ্রগতি হতাশাজনক। এসব কারখানা ১০ শতাংশ সংস্কারও করতে পারেনি। ৯৮টি কারখানার সংস্কার অগ্রগতি ২০ শতাংশের নীচে এবং বাকি কারখানাগুলো ২০ শতাংশের উপরে কিন্তু ৪০ শতাংশের নীচে। অন্যদিকে অ্যালায়েন্স পরিদর্শন করেছে প্রায় ৬শ’ কারখানা। এর বাইরে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) ও সরকারের উদ্যোগে আরো প্রায় ১৭শ’ কারখানাসহ মোট ৩ হাজার ৬শ’ কারখানা সংস্কার কাজ চলছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে ২ থেকে ৩ শতাংশ কারখানা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন