বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

বিক্ষোভ দমনে লেসার

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : এবার কাশ্মীরিদের বিক্ষোভ আন্দোলন দমন করতে নতুন লেসার অস্ত্র পাঠাচ্ছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে ওই লেসার অস্ত্রযান। ইতোমধ্যেই নন লিথাল লেসারের নতুন এই যানটি তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআডিও। ভারতীয় বাহিনীর দাবি, কাশ্মীরে আন্দোলনকারীদের শারীরিক ক্ষতি না করে দুর্বল করে দেবে বিশেষ এই নিথাল লেসারের রশ্মি। ডিআরডিওর নতুন লেসার অস্ত্রটিতে গ্রিন লেসার ডেজলার সিস্টেম থাকবে। যাতে নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে এই লেসার বিকিরণ ফেলবে। লেসার রশ্মি ৫০ থেকে ৫০০ মিটার দুরেও জীবিত কাউকে চার সেকেন্ডের বেশি টিকতে দেবে না। রশ্মির সামনে দাঁড়ালেই ব্যক্তির চামড়ায় এমন অনুভব হবে, মনে হবে তার চামরা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। এমনকি তাকে দুর্বল করে দেবে। ফলে, বাধ্য হয়ে ওই জায়গা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন তারা। অপরদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য আবু দুজানা ও তার এক সহযোগী নিহত হওয়ার ঘটনায় আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে। রাজ্যটিতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক বিক্ষোভকারী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। গতকাল পুলওয়ামা জেলার হাকরিপোরা গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুজানা ছাড়াও আরো একজন নিহত হয়। পুলিশের সূত্র জানায়, তাদের কাছে খবর ছিল গ্রামের একটি বাড়িতে দুজানা লুকিয়ে আছেন। আর সে খবরের পরিপ্রেক্ষিতে অপারেশন চালায় তারা। ছয় বছর আগে কাশ্মীর উপত্যকায় অবস্থান নেন ২৬ বছর বয়সী এ জঙ্গি নেতা। ২০১৫ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা আবু কাশিম। কাশিমের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন দুজানা। তার মৃত্যুর পর দুজানাকেই দক্ষিণ কাশ্মীরে লস্করের কার্যকলাপ সামলানোর দায়িত্ব দেয়া হয়। দক্ষিণ কাশ্মীর অঞ্চলে কম বয়সীদের আরো বেশি করে লস্করের সঙ্গে যুক্ত করার দায়িত্ব ছিল দুজানার ওপর। তার নাগাল পাওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ তাকে ধরার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হলেও প্রতিবারই নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় সে। এজন্য তাকে চৌকস হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছিল। খবরে বলা হয়, বিক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এর চেয়ে কার্যকর অস্ত্র দ্বিতীয়টি এখনো ভারতীয় সেনার হাতে পৌঁছায়নি। ডিআরডিও’র এই সিস্টেমকে মাহিন্দ্রা মার্কসম্যানিক ভেহিকেল থেকে পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ডিআরডিও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের লেসার অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে। একটি ড্রোনকে নামিয়ে আনতে ১০ কিলো ওয়াট শক্তি সম্পন্ন লেসারের প্রয়োজন হয়। ডিআরডিও ২৫০ কিলো ওয়াট লেসার নিয়ে কাজ করছে। এগুলোকে ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। এএফপি, কে২৪।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jalal Uddin Ahmed ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৫৪ এএম says : 0
Inhumanity activities... Should Must be stopped
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন