স্টাফ রিপোর্টার : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্ব-প্রস্তুতির উত্তম সক্ষমতার কারণেই যেকোনো দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্যমান হারে কমিয়ে আনতে পেরেছে। পাশাপাশি যেকোনো দুর্যোগে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা একটি দুর্যোগ সহনশীল পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওসমানী মিলনায়তনে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৬’ উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু বিশেষ অতিথি ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ। দিবসটির প্রতিপাদ্য হল-‘দুর্যোগে পাবো না ভয়, দুর্যোগকে আমরা করব জয়।’
দুর্যোগ মন্ত্রী বলেন, যেকোনো দুর্যোগে নিজের দায়িত্ব পালন না করে মানুষ আতংকিত হয়ে দিগি¦দিক ছুটাছুটি করে। অনেক সময় উদ্ধার কর্মীদের কাজের ব্যাঘাত ঘটায়। কিন্তু মনে সাহস রেখে ও ধৈর্য ধরে করণীয় কাজটি পালন করলে সহজেই দুর্যোগ মোকাবেলা করা যায়।
মায়া আরও বলেন, নিজেদের নিরাপদে বাঁচার তাগিদেই বিল্ডিং কোড মেনে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও আবহাওয়ার সতর্কবার্তা জেনে সাগরে মাছ ধরতে যেতে হবে। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসকে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস জানিয়ে তিনি এ সময় লঞ্চ-স্টীমারে যাতায়াতে সাবধানতা অবলম্বনে গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প, অগ্নিকা- ও উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাস থেকে উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য প্রচুর সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। দুর্যোগের পূর্বাভাস দানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকমানের সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রতি জেলায় দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ রিজার্ভ রাখা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন