সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জমিয়তে উলামা ইসলাম
জমিয়তে উলামা ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি বামপন্থী নাস্তিক জাফর ইকবাল, শ্যামলী নাসরিনদের নিয়ে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি মুসলিম চেতনা সম্বলিত কবিতা-প্রবন্ধ বাদ দিয়ে আবারো হিন্দুত্ববাদী গল্প প্রবন্ধ অন্তর্ভূক্ত করে পান্ডুলিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মুসলিম চেতনা বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে পুণরায় হিন্দু মৌলবাদী গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ পুনঃস্থাপনের শিক্ষা মন্ত্রীর বাম চক্রান্ত রুখে দেয়া হবে। শিক্ষাবিদ নামধারী এসব বাম ঘরানার নাস্তিকদের কমিটিতে কেন অর্ন্তভূক্ত করা হলো, শিক্ষামন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে। শিক্ষানীতি ও সিলেবাস প্রণয়ণের ক্ষেত্রে আলেম ওলামাদের উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জবাবও তাকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ৩য় শ্রেণীর বইয়ে একজন মুসলিম কবি লেখকও নেই। ১০০ভাগই হিন্দু। অন্যান্য বইয়ে দু-একজন যা আছে তাও বাদ দিতে বলেছে উগ্র হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন আরএসএস। সম্প্রতি তারা বলেছে, পাঠ্যপুস্তকে বিখ্যাত কবি মির্জা গালিব, মকবুল ফিদা হুসাইনদের মতো মুসলিম কবি লেখকদের লেখা রাখা যাবেনা। মোগল স¤্রাটদের কোন উদারতা পাঠ্যপুস্তকে রাখা যাবেনা। গুজরাটে গোধরায় ট্রেনে হামলায় মুসলিমরা জড়িত বলতে হবে। কোন সন্দেহ করলে চলবেনা। কথিত রামের জন্মস্থানে বাবরী মসজিদ তৈরী হয়েছিল বলে কোন সন্দেহ করা যাবে না। এই উল্লেখও বাদ দিতে হবে। রংধনু শব্দকেও পরিবর্তন করে রামধনু করতে হবে। পানি বলা যাবে না জল বলতে হবে। অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে কোন মুসলিম রাখা যাবেনা। আর বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে নাস্তিক্যবাদীরা অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এর প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচী দিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি এ বিষয়ে ইসলামী নেতৃবৃন্দকে জরুরী ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানান।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ
২০ দলের শরীক ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাওলানা মোঃ শওকত আমীন, খলিফায়ে মাছিহাতা, পীর সাহেব বি. বাড়ীয়া বলেন-নেজামে ইসলাম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী জেনারেল, ঐতিহাসিক মাছিহাতা দরবারের পীরসাহেব আল্লামা সৈয়দ মুসলেহ উদ্দিন (রহঃ) ছিলেন উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। কিশোরগঞ্জের দেশের বৃহত্তম ঈদগাঁহ শোলাকিয়া ময়দানে তিনি প্রায় ৪০ বছর ইমাম ছিলেন। তথাকার হাইবতনগর মাদ্রাসার ছিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ। ইসলামী রাজনীতি করার কারণে তৎকালীন সরকার তাকে মাদ্রাসার চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করে। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁর অবদান, ত্যাগ ও আদর্শ অনুকরনীয় হয়ে থাকবে। ‘আল্লামা আতহার আলী (রহঃ) মিলনায়তনে’ ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মুঃ ইলিয়াস আতহারীর সভাপতিত্বে ছাত্র সমাজ আয়োজিত “আল্লামা মুসলেহ উদ্দিন (রহঃ) স্মরণে দোয়া মাহফিলে” প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। প্রধান আলোচক ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওঃ আবুল কালাম আজাদ সুনামগঞ্জী বলেন-ওলি আল্লাহদের কথা আলোচনা করলে আল্লাহর রহমত নাযিল হয় এবং আমাদের জীবনে তাদের আদর্শের প্রভাব পড়ে। দোয়া পরিচালনা করেন- আল আরব মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ বোরহান উদ্দিন আল আজিজী। বত্তব্য রাখেন মাওঃ মুঃ ইসমাঈল বুখারী, মাওঃ আল-আমিন নাসিরী, হাফেজ হাবিবুর রহমান, হাঃ মুঃ সুফিয়ান, হাঃ মুঃ মুক্তাকিম খন্দকার প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন