স্টাফ রিপোর্টার : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুনের সঙ্গে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাদের আলোচনা শুরু হয়। বৈঠকটি স্থায়ী ছিল প্রায় ঘণ্টাখানেক।
তবে ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা করতে বিএনপি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই বৈঠক আয়োজিত হলো তা কোনো পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও বিশেষ এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সাধারণ কোনো বৈঠক হলে দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে আগাম জানানো হয়, কিন্তু গতকালকের ওই বৈঠকের ক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের না জানানোয় কৌতুহলের মাত্রা আরো বেড়েছে। তাছাড়া সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইইউ’র এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুনকে উদ্ধৃত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি আমাদের বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আমরা চাই, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এখানে গণতন্ত্র আরও শক্ত হোক। তবে সভার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এটা ফেয়ারওয়েল ছিল। ইইউ একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি, আমাদের চেয়ারপারসন নেই বলে আমরা সবাই একসঙ্গে গিয়ে তাকে ফেয়ারওয়েল দিয়েছি। ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, দলের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইইউ রাষ্ট্রদূত বিএনপির কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন