সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে -ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীসহ সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা রোধে ইতোমধ্যে ব্ল্যাক স্পটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজধানীর সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন মহলের উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মিটারবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএর অভিযান পরিদর্শনকালে তিনি এ দাবি করেন।
রাজধানীতে মিটারবিহীন সিএনজি অটোরিকশা ও অবৈধ যানবাহন চলাচল রোধে বিআরটিএর অভিযানের অংশ হিসেবে সকালে বনানীতে অভিযান পরিচালনা করে বিআরটিএ। এ সময় লাইসেন্স না থাকায় ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৬টি গাড়িকে জরিমানা ও পাঁচটি গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান পরিদর্শন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, রাজধানীসহ সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে এবং দুর্ঘটনা রোধে ইতোমধ্যে ব্ল্যাক স্পটগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকটাই মুক্ত বলা যেতে পারে। দুই-তিন মাস ধরে সেখানে কোনো দুর্ঘটনা হয় না। যেটাকে এক সময় মরণ ফাঁদ হিসেবে বলা হতো। ফুটপাথগুলো পুনঃসংস্করণ করা দরকার। সে কাজগুলোতে হাত দেয়া দরকার। সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমি মনে করি, সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে যানজট এবং দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সকালে স্কুলটাইমে বিআরটিসির বাসে অবশ্যই স্কুল শিক্ষার্থীদের তুলতে হবে। সেখানে উপস্থিত থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শামসুন্নাহার শতাব্দী হাত তুলে ইংরেজিতে বলে, ‘মিস্টার মিনিস্টার! আই হ্যাভ এ কোশ্চেন। জবাবে মন্ত্রী বলেন, হোয়াট ইজ ইয়োর কোশ্চেন। আর ইউ জার্নালিস্ট? উত্তরে শতাব্দী বলে, ‘নো! আই অ্যাম এ স্টুডেন্ট। এরপর রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে স্কুলে আসার পথে গণপরিবহনে নিজের দুর্ভোগের কথা মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে শতাব্দী। সে জানায়, শেওড়াপাড়া থেকে ১২৩ নম্বর বাসে মেয়েদের তুলতে চায় না। তাই প্রায় প্রতিদিনই তার স্কুলে আসতে দেরি হয়। এছাড়া অন্য অনেক বাসেও সিট খালি নেই বলে মেয়েদের তুলতে চায় না বলে অভিযোগ করে শতাব্দী।
শতাব্দীর অভিযোগ শুনে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত স্কুলটাইমে বিআরটিসির বাসে অবশ্যই স্কুল শিক্ষার্থীদের তুলতে হবে।
তিনি বলেন, গণপরিবহনে নারী ও শিশুদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখার বিধান মেনে চলতে হবে। অন্যথায় এসব গণপরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Manjur Alam ১৩ মার্চ, ২০১৬, ১০:০০ এএম says : 0
dhurghotona o sohonio porjay hoy....hayre...
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন