ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন “কিশোর আলো”র জুলাই সংখ্যার ৯৬ পৃষ্ঠায় কার্টুনের মাধ্যমে “সবচেয়ে সেরা জীব গরু যে খেতে চায় সে সবচেয়ে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী” বলে ইসলামী মূল্যবোধে চরম আঘাত করেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মানুষ ও গরুর কথোপকথনে গরু কার্টুন দিয়ে সুক্ষভাবে কিশোরদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে। যা নিন্দীয় আপত্তিকর ও দোষনীয়। তিনি বলেন, কার্টুনে “সবচেয়ে সেরা জীব গরু যে খেতে চায় সে সবচেয়ে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী” সেরা জীব গরু নয়, মানুষ। যেখানে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মানুষকে সেরা জীব বলে ঘোষণা করেছেন, সেখানে এ ধরণের কার্টূন আর্ট করে কার্টনিস্ট গরুর গোস্ত বা গরু খাওয়া মানুষকে নিম্ন প্রজাতির প্রাণী বলে ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত করেছেন। গরুর গোস্ত খাওয়ার ব্যাপারে কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, কিছুদিন পর মুসলমানদের সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আসতেছে। প্রতিটি মুসলমান বিশেষত, কিশোরেরা গরু কুরবানির প্রতি অনেক উৎসাহিত থাকে। গরু ক্রয়, হাঁটে যাওয়া, গরু জবাইসহ এতদসংশ্লিষ্ট সকল কাজে কী পরিমাণ উৎসাহ বোধ করে ও প্রেরণা পায়, তা বলাই বাহুল্য। কাজেই প্রথম আলো এর পূর্বেও বিভিন্ন কার্টুন, ইসলামবিরোধী লেখা প্রকাশ করে ইসলামী জনতার কাছে ধিকৃত হয়ে আছে। এখনও কিশোর আলো ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিলে এবং কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পবিত্র কাবাঘরকে নিয়ে কটুক্তিকারী ধর্মবিদ্বেষী শিপন দাশের ফাঁসী, সংসদে ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির আইন পাশের দাবিতে গত ৯ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় স্মারকলিপি পেশ পূর্ব জমায়েত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দোলনের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। সভাপতিত্ব করেনন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ ।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন ঘোষিত ১১ আগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। নিজ এলাকা চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনের সড়কে বনজ গাছ রোপণ করে তিনি ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মাওলানা মামুনুর রশীদ, বরিশাল মহানগর নেতা কবির হোসেন মেম্বার প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, গাছ মানুষ এবং সব প্রাণীর বন্ধু। যে অঞ্চলে যত গাছ পালা সে অঞ্চল তত প্রাণবন্ত। ‘গাছ লাগানো’কে ইসলাম উত্তম ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত করেছে। হাদিসের পরিভাষায় যাকে ‘সদকায়ে জারিয়া’ নামকরণ করা হয়েছে। রাসূল সা. বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলমান একটি ফলবান বৃক্ষের চারা রোপণ করে, আর এতে ফল আসার পর সে নিজে অথবা অন্য কোনো মানুষ তা থেকে যা ভক্ষণ করে, তা তার জন্য সদকা (দানস্বরূপ), যা চুরি হয়, যা কিছু গৃহপালিত পশু এবং অন্যান্য পাখ পাখালি খাবে, এসবই তার জন্য সদকা।’(বুখারি ও মুসলিম)।
গাছ লাগানোর গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূল সা. বলেন, ‘তুমি যদি নিশ্চিতভাবে জানতে পার যে, কেয়ামত এসে গেছে আর তোমার হাতে একটি গাছের চারা আছে তারপরও তা লাগিয়ে দাও।’ (মেশকাত)।
তিনি বলেন, গাছ ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী আলট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রতিরোধক হিসেবে মানুষের উপকার করে থাকে। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। অকারণে আমরা গাছ কাটব না এবং শস্য নষ্ট করব না। জরুরি পরিস্থিতি তথা যুদ্ধের সময়ও রাসূল সা. গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন। সাহাবি ইবনে সাঈদ রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, ‘মদিনার প্রত্যেক প্রান্তে সীমানা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, যাতে গাছপালা মুন্ডানো এবং কাটা না হয়। তবে যেগুলো উট খেয়ে ফেলে, সেগুলো ব্যতীত।’ (আবু দাউদ)। আলাহর সৃষ্ট এ পৃথিবীকে সুবজ রাখার দায়িত্বও আমাদেরই। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন