মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

মিয়ানমার প্রতিশোধ পরায়ণ হলে উত্তেজনা বাড়বে

| প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : শুক্রবার মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় কমপক্ষে ৮৯ জন নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ পরায়ণ না হতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেছেন, যেহেতু নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা আরো সহিংসতা প্রতিরোধে ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেহেতু তাদেরকে আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। মিয়ানমারে ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে জাতিগত রোহিঙ্গা উগ্রপন্থিরা হামলা চালায় গত শুক্রবার। এ ঘটনায় নিহত হন কমপক্ষে ৮৯ জন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম ৭৭ জন। নিরাপত্তা রক্ষী ১২ জন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যদি এ ঘটনার প্রতিশোধ নেয় তাহলে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। ওদিকে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির অফিস থেকে গত শুক্রবার বলা হয়েছে, ক্লিয়ারেন্স অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে হামলার জবাব দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষীরা। তবে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন বলতে তিনি আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। এর আগে গত বছর অক্টোবরের ঘটনায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু হলে একে এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত রোহিঙ্গাদের নির্মূল অভিযান বলে আখ্যায়িত করেছিল আন্তর্জাতিক মহল। ওই সময় সরকার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে। রাখাইনের মংডুর একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফোনে বলেছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে তার গ্রামে প্রবেশ করেছে সেনাবাহিনী। তারা বাড়িঘর, সহায় সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিচ্ছে। গুলি করে হত্যা করেছে কমপক্ষে ১০ জনকে। প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি নিজেকে শুধু ডাকনাম এমার বলে পরিচয় দেন। তার আশঙ্কা পুরো নাম প্রকাশ করলে তার ওপর প্রতিশোধ নেয়া হতে পারে। তিনি বলেছেন, গ্রামবাসী যে যেদিকে পারছেন পালাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষ ছুটছেন পাহাড়ের দিকে। গুলির শব্দ, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার রাতেও অগ্নিকুন্ডলি ও ধোয়া দেখা গেছে আকাশে। ওদিকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে উগ্রপন্থি আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি। তারা বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর সরকারি বাহিনী নৃশংসতা চালাচ্ছে। তাই তাদের প্রতিরক্ষায় তারা বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বলেছে, এর মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের অধিকারের বৈধতা দিতে চায়। এ হামলাকে অং সান সুচি সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা রাখাইনে শান্তি ও স¤প্রীতি জান তাদের উদ্যোগকে খর্ব করার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আজাদ ২৭ আগস্ট, ২০১৭, ৩:৫৯ পিএম says : 0
বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো কী করে ?????????
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন