কাজা ওমরাহ পালন
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় প্রবেশের সময় তাঁর কাসওয়া নামক উটনীতে আরোহণ করেন। মুসলমানরা কোষবদ্ধ তলোয়ার তুলে ধরে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মাঝখানে নিয়ে লাব্বায়েক ধ্বনি দিচ্ছিলো।
মক্কার পৌত্তলিকরা তামাশা দেখার জন্যে ঘর থেকে বেরিয়ে উত্তর দিকে অবস্থিত কায়াইকায়ান পাহাড়ে উঠে দাঁড়ালো। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলো যে, তোমাদের কাছে এমন এক দল আসছে, যাদের মদীনায় জ্বর কাবু করে ফেলেছে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথা শুনে সাহাবাদের বললেন, তারা যেন তিনবার খুব জোরে দৌড় দেন।
আর রাহীতুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
প্র:- নামাযের মধ্যে ইমামের ‘হদস’ বা ওযু ভঙ্গের কারণ ঘটে গেলে কি করতে হবে?
উ:- তৎক্ষণাত সরে গিয়ে যে রোকন বা কাজের মধ্যে হদস হয়েছে সেই রোকনেই মুক্তাদীগণ হতে একজনকে খলীফাহ নিযুক্ত করে যেতে হবে।
প্র:- কোন্ রোকনের কোন্ অবস্থায় হদস হয়েছে এবং কোথা হতে তাকে নামায পড়াতে হবে এটা জানানোর জন্যে খলীফাকে কিভাবে হিদায়াত দিতে হবে?
উ:- ইশারা ইঙ্গিতে তাকে বুঝাতে হবে। যেমন কিরাতের জন্য মুখে আঙ্গুল দিয়ে, এক রাকাতে এক আঙ্গুল দেখিয়ে আর দুই রাকাতের জন্যে দুই আঙ্গুল দেখিয়ে ইশারা করে।
প্র:- খলীফার পিছনে ইমাম কি তার অবশিষ্ট নামায পুনরায় পড়তে পারবেন?
উ:- হাঁ, নতুনভাবে ওযু করে এসে তাঁর খলীফার পিছনে সে অবশিষ্ট নামায পড়তে পারবেন। এটাকে বেনা বলা হয়।
প্র:- ছেড়ে দেওয়া নামাযে পুনরায় শামিল হওয়া (বেনা করা) মুক্তাদী এবং মুনফারিদ উভয়ের জন্যেই কি জায়েয?
উ:- বেনা করা সবার জন্যেই জায়েয। তবে মুনফারিদের জন্যে বেনার চেয়ে নতুনভাবে নামায পড়ে ফেলাই উত্তম। ইমাম ও মুক্তাদী বেনা করলেই বেশি সওয়াব পাবে। আর না করলে জামাআতের সওয়াব হতে বঞ্চিত থাকবে। (আলমগীরী)
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন