ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সংহতি শান্তিপ্রিয় প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার ও কাম্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবার-সমাজ, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চিন্তা-চেতনায় বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও বিশ্বাস প্রায় শূন্যের কোঠায়। মানুষের মধ্যে প্রাণ আছে কিন্তু মন নেই। আবেগ অনুভূতি নিরুদ্দেশ। মানুষের অবচেতন হৃদয় শান্তির সন্ধানে ঘুরপাক খাচ্ছে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় নৈতিক অবক্ষয় দিন দিন বাড়ছে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমাদেরকে সক্রিয় হতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে জাগ্রত করতে হবে সমাজকে।
সম্প্রতি রাজধানীর ভাটারাস্থ “মারকাযুস সুন্নাহ ঢাকা”র ১৪৩৭-৩৮ হিঃ শিক্ষা সমাপ্তকারী ছাত্রদের মাঝে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জনাব আবু বকর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মীর আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডঃ শওকত আলী হাওলাদার, মাওঃ জাহিদুল ইসলাম, মুফতী শরীফুল ইসলাম, মুফতী আমীর হোসাইন, মুফতী শরীফ আল মোস্তফা, মুফতী মহিউদ্দিন, মুফতী আবু সালেহ, মুফতী সালাহ উদ্দীন জনাব আব্দুল জলীল প্রমুখ। তিনি আরো বলেন, মুসলিম উম্মাহর সকল সঙ্কট নিরসনে ওলামায়ে কিরামকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের চলমান সঙ্কটে জাতি আজ বিভ্রান্ত। জাতি আজ আল্লাহভীরু সঠিক ও ইনসাফপূর্ণ নেতৃত্বহীনতায় ভোগছে। এই জাতিকে উদ্ধার করার পদক্ষেপ আমাদেরকেই নিতে হবে।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখাওয়াত হুসাইন বলেছেন, সরকার সাধারণ জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দেশের সামাজিক অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ইন্টারনেট ও ফেসবুকের অপব্যবহার আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিকতার বন্ধন ধ্বংস করে দিচ্ছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই । আওয়ামী দু:শাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেতে চায়। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশ ও জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়।
তিনি সম্প্রতি ইসলামী ঐক্য আন্দোলন দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলা শাখার দায়িত্বশীলদের বৈঠকে একথা বলেন।
জমিয়তে উলামা ইসলাম
জমিয়তে উলামা ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি বামপন্থী নাস্তিক জাফর ইকবাল, শ্যামলী নাসরিনদের নিয়ে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি মুসলিম চেতনা সম্বলিত কবিতা-প্রবন্ধ বাদ দিয়ে আবারো হিন্দুত্ববাদী গল্প প্রবন্ধ অন্তর্ভূক্ত করে পান্ডুলিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মুসলিম চেতনা বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে পুণরায় হিন্দু মৌলবাদী গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ পুনঃস্থাপনের শিক্ষা মন্ত্রীর বাম চক্রান্ত রুখে দেয়া হবে। শিক্ষাবিদ নামধারী এসব বাম ঘরানার নাস্তিকদের কমিটিতে কেন অর্ন্তভূক্ত করা হলো, শিক্ষামন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে। শিক্ষানীতি ও সিলেবাস প্রণয়ণের ক্ষেত্রে আলেম ওলামাদের উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জবাবও তাকে দিতে হবে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ৩য় শ্রেণীর বইয়ে একজন মুসলিম কবি লেখকও নেই। ১০০ভাগই হিন্দু। অন্যান্য বইয়ে দু-একজন যা আছে তাও বাদ দিতে বলেছে উগ্র হিন্দু মৌলবাদী সংগঠন আরএসএস। সম্প্রতি তারা বলেছে, পাঠ্যপুস্তকে বিখ্যাত কবি মির্জা গালিব, মকবুল ফিদা হুসাইনদের মতো মুসলিম কবি লেখকদের লেখা রাখা যাবেনা। মোগল স¤্রাটদের কোন উদারতা পাঠ্যপুস্তকে রাখা যাবেনা। গুজরাটে গোধরায় ট্রেনে হামলায় মুসলিমরা জড়িত বলতে হবে। কোন সন্দেহ করলে চলবেনা। কথিত রামের জন্মস্থানে বাবরী মসজিদ তৈরী হয়েছিল বলে কোন সন্দেহ করা যাবে না। এই উল্লেখও বাদ দিতে হবে। রংধনু শব্দকেও পরিবর্তন করে রামধনু করতে হবে। পানি বলা যাবে না জল বলতে হবে। অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে কোন মুসলিম রাখা যাবেনা। বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে মুসলমানিত্ব বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে নাস্তিক্যবাদীরা অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন