শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অটোরিকশা ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জেল-জরিমানা বন্ধ ও দৈনিক জমা কমানোসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীতে গতকাল (রোববার) ধর্মঘট পালন করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। সকাল ৬টা থেকে আহুত ধর্মঘট আজ (সোমবার) ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথা। তবে অটোরিকশা চালকদের আইনের অধিনে থাকতে হবে এবং দৈনিক জমার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েকজন অটোরিকশা চালানোর চেষ্টা করলেও ধর্মঘটীদের ধাওয়ায় তারা গ্যারেজে ফিরতে বাধ্য হন। আফসানা মিতু নামে এক গর্ভবতী ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন অটোরিকশায় করে মিরপুর থেকে মতিঝিল যান। কিন্তু চালকদের ধর্মঘটের কারণে গতকাল বিপাকে পড়েন তিনি।
মিতু জানান, একটি অটোরিকশায় বেশি ভাড়ায় উঠেও পড়েছিলাম। কিন্তু কিছু লোক এসে চড়-থাপ্পর মেরে চালককে নামিয়ে নিয়ে গেছে। পরে বাসে আসতে বাধ্য হয়েছি।
ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএনজি) ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে: চালকদের জেল-জরিমানা বন্ধ করা, জেলে থাকা সব অটোরিকশা চালকের মুক্তি, সরকার নির্ধারিত ৯০০ টাকা জমা পুনর্বিবেচনা, নো-পার্কিং মামলা না করা, গাড়ির ফিটনেসের ক্ষেত্রে ইকোনমিক লাইফের সীমা বাড়ানো, শ্রম আইন অনুসারে চালকদের নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা, নতুন পাঁচ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের মধ্যে বিতরণ।
তিনি বলেন, অনেকবারই আন্দোলন করেছি, কর্মসূচি দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কথায় কথায় চালকদের জেল-জরিমানা করা হয়। জমাও বাড়ানো হয়েছে। পথে আবার চাঁদাও দিতে হয়। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আফসার উদ্দিন নামে এক অটোরিকশা চালক জানান, রাজধানীতে পার্কিং সুবিধা না বাড়িয়ে আমাদের নো-পার্কিয়ের মামলা এবং জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। মালিকপক্ষও ফের জমা বাড়িয়েছেন। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। তাহলে বলেন আমরা কী করতে পারি? এবার শক্ত আন্দোলনে রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
তবে সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমার পরিমাণ ৯০০ টাকার বেশি যাতে চালকদের কাছ থেকে নেয়া না হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। রোববার সকালে সবুজ সিএনজি অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মাথায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন খাতের সমস্যা নিয়ে একটি সভা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (অটোচালক) যে বিষয়টি উত্থাপন করছে তাদেরকে তো আইনের মধ্যে চলতে হবে। ইচ্ছেমতো ভাড়া নিবে, যেখানে সেখানে পার্কিং করবে-এ ব্যাপারে জনস্বার্থে পুলিশকে এনফোর্সমেন্টে যেতে হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন