মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা সম্প্রসারণ করেছে রাজউক -গৃহায়নমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ভবিষ্যতের চিন্তা-ভাবনা না করে অপরিকল্পিতভাবে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ঢাকা শহর সম্প্রসারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিন দিনব্যাপী সপ্তম আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এক্সপো ও গ্রীন সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার এ মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সপোনেট এক্সিবিশন ও থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী সল্যুশন এ সামিটের আয়োজন করে।
ঢাকা সম্প্রসারণে রাজউকের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক শহর দেখেছি, তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী শহর গড়ে তোলেন। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন দুইশ’ বছর আগের শহর, দুইশ’ বছর পরে কি হবে সে পরিকল্পনা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু রাজউকের পরিকল্পনাবিদেরা ঢাকা শহরকে পরিকল্পনা করে গড়ে তোলেননি। এমনকি ঢাকার কোথায় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে- এ চিন্তাও করা হয়নি। রাজউকের চিন্তা ছিল, পুরান শহরের কতোটুকু যাবে, হয়তো তেজগাঁও পর্যন্ত যাবে। এর বাইরে যে ঢাকা শহর সম্প্রসারিত হবে সে চিন্তাও করেনি। এমনকি বনানী, গুলশান ও ধানম-িও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলেছে রাজউক।
রাজউক কোনো চিন্তা না করেই ঢাকা সম্প্রসারণ করেছে। তারা (রাজউক) শুধু প্লট করেছে আর বিক্রি করেছে। এসব প্লটের ছেলে-মেয়েরা কোথায় পড়বে তার ব্যবস্থা করা হয়নি’- বলেন গৃহায়নমন্ত্রী।
বর্তমান পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, আমরা গ্রীন বিল্ডিং ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সবগুলো অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটা বিল্ডিংয়ের নিচে যাতে ছোট এসটিপি থাকে। ওয়াসা’র দিকে আর তাকিয়ে না থেকে নিজস্ব পানির ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে ১৫ হাজার বিল্ডিংয়ে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখছি। শেরেবাংলা নগরের নতুন সচিবালয়ও গ্রীন বিল্ডিংয়ে করা হবে।
হাজারিবাগের ট্যানারি কারখানার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও ট্যানারি উঠিয়ে নিচ্ছে না। বুড়িগঙ্গার দূষণের জন্য ৬০ শতাংশ বর্জ্য আসে ট্যানারি থেকে। ট্যানারিতে কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। এসব ট্যানারি ঢাকার নদীগুলোকে নষ্ট করছে।
নতুন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, নতুন স্যাটেলাইট সিটিগুলো পরিকল্পিতভাবে করছি। ঝিলিমিল ও পূর্বাচল গ্রীনসিটি হবে। এসব সিটিতে নিজস্ব পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকবে। ৪৮ কিলোমিটার লেকের পাশে থাকবে ওয়াকওয়ে ও সাইকেল চালানোর আলাদা ওয়ে।এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারত ও যুক্তরাজ্যের ১৩টি দেশের ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল অংশ নেয়। স্টলগুলোতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্ডাস্ট্রিয়াল বৈদ্যতিক যন্ত্রাংশ, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, পরিবেশবান্ধব বিল্ডিং নির্মাণ যন্ত্রাংশ, অফিস ইন্টেরিয়র, হিট কন্ট্রোল প্রযুক্তি ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত অগ্নিনির্বাপন আধুনিক মেশিনারিজ ও সেবা প্রদর্শন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভুঁইয়া, বিজিএমইএ’র সহÑসভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন