শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রভাবশালী ও নামীদামি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা জড়িত : মনিরুল ইসলাম

এটিএম কার্ড জালিয়াতি

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : এটিএম কার্ড জালিয়াতি চক্রের প্রধান বিদেশী নাগরিক পিওটর সিজোফেনের সঙ্গে পুলিশের কয়েকজন সদস্যের সম্পর্ক ছিল। ওই জালিয়াত চক্রের সাথে বেশ কিছু প্রভাবশালীও জড়িত। কিছু নামীদামি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরাও জড়িত। তবে ওই পুলিশ সদস্যরা জালিয়াতির সাথে জড়িত কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এ জালিয়াতিতে কোনো কোনো প্রবাসী বাঙালির নামও এসেছে। সে ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তাদের ইন্টারপোল, দূতাবাস ও হাইকমিশনের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা ছয়-সাতজনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। কিছু নামীদামি প্রতিষ্ঠানের নাম আসছে। যার কর্তাব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া ২২-২৩টি প্রতিষ্ঠান জড়িত, যাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের বিষয়ে দালিলিক প্রমাণ পেলেই আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পিওটর সিজোফেন বিচ্ছিন্নভাবে তার সঙ্গে পুলিশের কয়েকজন সদস্যের সম্পর্কের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পিওটর জিজ্ঞাসাবাদে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কোনো পরিচিত পুলিশ সদেস্যের কথা বলেছেন। যাদের সে চিনত, জানত এবং যাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু তাদের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, পিওটর আদালতে যে জবানবন্দী দিয়েছেন সেটাই গ্রহণযোগ্য। সেই জবানবন্দীতে যদি কোনো পুলিশ সদস্যের নাম আসে তা যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে কোনো পুলিশ সদস্যকে শাস্তিযোগ্য বদলি করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়নি। ডিএমপিতে এমনিতেই প্রতিদিন অনেক পুলিশ সদস্য বদলি হয়। এটি রুটিন ওয়ার্ক। তারপরও আসামিদের স্বীকারোক্তিতে যদি কারো নাম আসে তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে যেই হোক না কেন।
তিনি আরো বলেন, এটিএম জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। প্রধান আসামি পিওটর ও আরো একজন আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে জবানবন্দীর কপি আমরা এখনো পাইনি। আমরা যতদূর জানি, তারা স্বীকার করেছেন কীভাবে জড়িত। আর কারা জড়িত এসব তথ্য তারা দিয়েছেন। এছাড়াও আমাদের কাছে কিছু দালিলিক প্রমাণও রয়েছে। কোনো কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার দালিলিক প্রমাণও পেয়েছি। তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা চলছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দালিলিক প্রমাণ পাইনি। তাদের বিষয়ও তদন্ত করা হচ্ছে।
৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীর গুলশান, মিরপুরের কালশী ও বনানী এলাকার ইস্টার্ন, সিটি ও ইউসিবির চার এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি ও পরবর্তী সময়ে গ্রাহকের অজান্তে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটে। তবে তা জানাজানি হয় ১২ ফেব্রুয়ারি।
কার্ড জালিয়াতির এ ঘটনায় ওই দিনই বনানী থানায় মামলা করে ইউসিবি। পরে রাজধানীর পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা করে সিটি ব্যাংক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন