ইনকিলাব ডেস্ক : তিউনিসিয়ার কাসেরিনে অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সাথে সংঘর্ষে অন্তত আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বেকার এক যুবকের আত্মহত্যার পর দুই দিনের বিক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। দুই দিন বিশৃঙ্খলার পর সান্ধ্যকালীন কারফিউ জারি থাকলেও কাসেরিন নগরীতে বুধবার সন্ধ্যায় তিউনিসীয় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বেকার যুবকের আত্মহত্যার পর চরম দুর্দশার সমাধানের দাবিতে শত শত চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারী নগরীর রাস্তায় নেমে আসে। তারা “কর্ম, স্বাধীনতা, মর্যাদা” ইত্যাদি স্লোগান দেয় এবং পাথর নিক্ষেপ করে ও টায়ার পুড়িয়ে একপর্যায়ে একটি থানায় প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করেন। তবে তারা জ্বলন্ত টায়ারের কারণে বাধা প্রাপ্ত হন। আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আবদুল গনি ছাবানি বলেন, কাসেরিনে আট পুলিশ এবং নিকটবর্তী ছালা এলাকায় ১১ জন আহত হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফিরিয়ানা শহরে একই দাবিতে ঘটা সংঘর্ষে অন্তত এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বেইজি সাঈদ ইসেবসি গত বুধবার বলেন, তিনি সাত লাখ বেকারের কষ্ট বোঝেন, যাদের মধ্যে আড়াই লাখ যুবক ও ডিগ্রীধারী। তিনি আরও বলেন, “তবে আমরা বিবৃতি অথবা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারছি না।”
উল্লেখ্য, তিউনিসিয়ার ১৫ শতাংশ মানুষ বেকার, তাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী। কাসেরিনের মতো রাজধানী তিউনিসসহ সারা দেশে বেকার সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। তিউনিসিয়ার কাসেরিন হচ্ছে সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা।
চলমান বিক্ষোভকে দেশটিতে ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। ওই বিক্ষোভ এক পর্যায়ে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ‘আরব বসন্তে’ রূপ নেয়। স্বৈরশাসন থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া অঞ্চলটিতে পর্যটকদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা এবং ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে ভূমধ্যসাগরীয় দেশটির স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের সূত্রপাতও হয়েছিল মোহাম্মাদ বুয়াজিজি নামের এক যুবকের আত্মহত্যার মধ্যদিয়ে। Ñসূত্র: ডয়চে ভেলে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন