ইনকিলাব ডেস্ক : বহিরাগত চরমপন্থী প্রভাব রুখতে ১৩ হাজার নাগরিকের দাড়ি ছেঁটে দিল তাজিকিস্তান পুলিশ। পাশাপাশি মুসলিম ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিক্রিও বন্ধ করা হয়েছে এবং ১৭শ’ মহিলাকে হিজাব ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিবেশী আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য। আফগান ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রভাব রোধ করতে সম্প্রতি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে তাজিক প্রশাসন। পুলিশের নির্দেশে দাড়ি কামিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার পুরুষ। মহিলাদের মুখ ঢাকতে হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আরব দেশগুলোসহ মুসলিম দুনিয়ায় ব্যবহৃত সাবেক পোশাক বিক্রি বন্ধ করতে ঝাঁপ ফেলে দেয়া হয়েছে ১৬০টি দোকানের।
গত সপ্তাহে আরবদেশে প্রচলিত নাম এবং ইসলামে প্রচলিত রীতি অনুসারে জ্ঞাতি ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহিত সম্পর্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাজিকিস্তান পার্লামেন্ট। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দেশের একমাত্র নথিভুক্ত মুসলিম রাজনৈতিক দল ইসলামিক রেনেসাঁ পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাজিক সুপ্রিমকোর্ট।
১৯৯৪ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমন। ২০২০ সালে শেষ হতে চলেছে তার শাসনের চলতি দফা। বিদেশি প্রভাবে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমর্যাদা বাঁচাতে তাজিকিস্তানের আইন ব্যবস্থা তিনি ঢেলে সাজানোর প্রয়াস নিয়েছেন।
১৯৯২-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তাজিকিস্তানে গৃহযুদ্ধ চলে। সেই সময় সাবেক সোভিয়েত জমানায় সরকারি খামারের প্রধান হিসেবে বহাল ছিলেন রাখমন। গত ২৩ বছরে ধীরে ধীরে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাজিক পার্লামেন্টের ইচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশ শাসন করুন তিনিই। গত মার্চ মাসের সাধারণ নির্বাচনে একমাত্র প্রতিপক্ষ দল ইসলামিক রেনেসাঁ পার্টি কোনও আসন দখল করতে ব্যর্থ হয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন