শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

মিশরে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করায় বিচারমন্ত্রী বরখাস্ত

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মহানবী (সা.)-কে নিয়ে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করায় মিশরীয় বিচারমন্ত্রী আহমেদ আল-জেন্দকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রোববার মিশরের প্রধানমন্ত্রী শরীফ ইসমাইল তাকে বরখাস্ত করেন। গত শুক্রবার টেলিভিশনে এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করলে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তার পদত্যাগের জোর দাবি ওঠে। পরে অবশ্য তিনি ক্ষমা চান। সরকারি এক ডিক্রিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শরীফ ইসমাইল আহমেদ আল জেন্দকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে ডিক্রিতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়নি।
আলজাজিরা জানায়, গত শুক্রবার একটি বেসরকারি টিভির আলোচনা সভায় জেন্দকে জিজ্ঞাসা করা হয় : সাংবাদিকদেরও তিনি গ্রেফতার করবেন কিনা। ‘মহানবী (সা.) হলেও’ বলে ফেলেন জেন্দ। তবে তিনি এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নেন এবং বলেন, অপরাধ পাওয়া গেলে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন গ্রেফতার করা হবে। এমনকি বিচারকদেরও কারাবন্দি করা হয়। কোনো সাংবাদিক কিংবা শিক্ষককে কারাবন্দি করার বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব না, আমি অভিযুক্তকে কারাবন্দি করার কথা বলছি, আমি তাদের কোনো টাইটেল দিতে চাই না, বলছিলেন জেন্দ। অনলাইনে জেন্দের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। আরবিতে ‘মহানবী নয়, আল-জেন্দের বিচার চাই’ নামে একটি হ্যাশট্যাগ এবং তার বক্তব্যের ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়। মিশরে ইসলামী শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান আল-আজহার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ভুলেও দেয়া যায় না।
চরম সমালোচনার মধ্যে জেন্দ নিজেই একটি টেলিভিশন টকশোতে টেলিফোন করেন এবং দাবি করেন তিনি কোনো অন্যায় করেননি। ‘আমি বলেছি ‘যদি’Ñ যারা এই শব্দটির মানে জানেন তারা জানেন যে এটি অনুমাননির্ভর কথা। এ মন্তব্যের কোনো মানে নেই, তা সত্ত্বেও আমি আমার খাঁটি ধর্মীয় অনুভূতি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অনুতাপ প্রকাশ করেছি। জেন্দ অভিযোগ করেন, মুসলিম ব্রাদারহুড তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং মিশরীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক গণমাধ্যম তাদের বিদ্বেষপ্রসূত প্রচারণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে মিশরের কয়েক সেনা সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হলে জেন্দ বলেন, নিহত সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে ৪ লাখ ব্রাদারহুড কর্মী খতম না করা পর্যন্ত তার বুকের আগুন নিভবে না। আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Hamid ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৪ এএম says : 5
শুধু বরখাস্ত করলে হবে না।তাকে এমন শাস্তি দিতে হবে।যাতে ভব্যিষতে আর কেউ এরকম অন্যায় করতে সাহস না পায়।।।
Total Reply(0)
Md Hemel ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৫ এএম says : 0
OR aro sasti dorkar...
Total Reply(0)
Mohammad Shahin ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৬ এএম says : 3
আরো কঠিন শাস্তি হোক এই ...................................র
Total Reply(0)
Ashek Elahi ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১০:৩৭ এএম says : 2
তাকে এখনই ফাঁসিতে ঝুলানো হোক।
Total Reply(0)
M A Latif ১৬ মার্চ, ২০১৬, ১১:৩২ এএম says : 0
ফাঁসী চাই
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন