শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নিরাপত্তার কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য নেয়া বিএনপির ত্রাণ আটকে দেয়া হয়েছে -ওবায়দুল কাদের

রোহিঙ্গাদের সহায়তার নামে চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না

| প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি নেতাদের নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ আটকে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে গেলে নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টাও দেখা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আপনারা কি ভাবতে পেরেছেন ওখানে কি ভয়াবহ অবস্থা? সেখানে সব না খাওয়া লোক। প্রতিনিয়ত এই ¯্রােত আসছে। সেখানে নিয়মের বাইরে যারা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেলে তাদের জীবনই সংশয়ের মধ্যে পড়ে যেত।
গতকাল শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দুর্যোগ ও ত্রাণ উপ-কমিটিরসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো ত্রাণ দিতে যায় না, তারা যায় কয়েকটা নিউজ আর ছবির জন্য যায়। কয়েকটা ট্রাক নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে ত্রাণ ছিল কিনা, অনেক কিছু থাকলেও থাকতে পারে। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
শৃংখলা না মানায় বিএনপি বাধার সম্মুখীন হয়েছে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা রুলস আছে, কক্সবাজার জেলাপ্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটির মাধ্যমে সবাই ত্রাণ দিচ্ছে। তারা যদি তাদের কাছে যদি তারা ত্রাণ দিত, তাদের মাধ্যমে বিএনপি ত্রাণ দিতে গেলে, তাদের (বিএনপির) নেতারা শরণার্থী শিবিরে পৌছার আগেই ত্রাণ পৌছে যেত।
কাদের বলেন, এটা মানবিক সাহায্যের বিষয়, এখানে আমরা রাজনীতিকরবো কেন? লাখ লাখ মানুষ, তাদের খাদ্য দিতে হবে, তাদের থাকার জায়গা দিতে হবে, তাদের সেনিটেশন, বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ এটা আমরা একা মোকাবেলা করবো এটা তো কখনো ভাবিনি। এটা আমরা কেন বাধা দেব, এই অমানবিক ব্যবহার আমরা কেন করবো। কিন্তু বিএনপি সেখানে রাজনীতি নিয়ে গেছে। না হলে নিয়ম মানবে না কেন।
তিনি বলেন, আমি সেখানে কয়েকবার গিয়েছি বাস্তবতা হচ্ছে সেখানে নিয়মের বাইরে কেউ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেলে তাদের জীবনই সংশয়ের মধ্যে পড়ে যেত। ঢাকায় বসে সেখানকার বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায় না। শৃংখলা না রাখলে সব লুটপাত হয়ে যেতো। যারা বিতরণ করতে যেতো, তারাও নাজেহাল হতেন। বিএনপি নেতাদের তো সিকিউরিটির ব্যাপার আছে। সেখানে কিছু ট্রাক নিয়ে গেলে কি অবস্থা হবে, ওখানকার না খাওয়া লোকেরা যদি জানে যে এই ট্রাকে খাদ্য আছে?
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার নামে চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য চাঁদাবাজির মহোৎসব যেন না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে চাঁদাবাজি বা জোর-জবরদস্তি সহ্য করা হবে না। এটি তো মানবিক ব্যাপার, যারা স্বেচ্ছায় সাহায্য করবে সেটি আমরা গ্রহণ করবো।
দলের দুর্যোগ ও ত্রাণ উপ-কমিটি আগামী শীতকে সামনে রেখে ২০ হাজার কম্বল রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণ করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান কাদের।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন