বেনাপোল অফিস : ভারত বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ করে দিচ্ছে এ ধরনের গুজবে বাজারে চালের মূল্য কেজি প্রতি ২/৩ টাকা করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। চালের বাজার মূল্য অস্থিতিশীল করতে একটি মহল বন্দর এলাকায় এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। মহলটি গত ১১ সেপ্টম্বর থেকে ভারতের মিনিস্ট্রি অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র স্বাক্ষর বিহীন এ ধরেনের একটি ভূয়া চিঠি বন্দর এলাকায় বিভিন্ন ব্যাসায়ীদের মাঝে মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আড়াই মাসের জন্য ভারত বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ রাখবে। চিঠি মোবাইলে ছবি ধারন করে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীদের মঝে।
চিঠির সুত্র ধরে আমদানিকারকরা ইচ্ছেমত গত ৩ দিনে চালের মূল্য কেজি প্রতি ২/৩ টাকা হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। চিঠির গুজবে বাজারে চালের দাম হু হু করে বাড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি মিথ্যা সংবাদও বেশ কটি টিভি চ্যানল ও প্রত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ার পর বাজারে চালের দাম আরো একধাপ বেড়েছে। অনেক আমদানিকারক বন্দর থেকে চাল খালাশের পর তা তাদের নিজস্ব গুদামে স্টক করতে শুরু করেছে বেশী বেশী মুনাফার আশায়।
বেনাপোলের আমদানিকারক আ: সামাদ জানান, ১১ সেপ্টেম্বর স্বর্না চাল ৪২ টাকা ও মিনিকেট চাল ৪৯ টাকা দরে বিক্রি হযেছে। ১২ সেপ্টেম্বর স্বর্না চাল ৪৩ টাকা ও মিনিকেট চাল ৫১ টাকা দরে বিক্রি হয় এবং ১৩ সেপ্টম্বর স্বর্না চাল ৪৪.৫০ টাকা ও মিনিকেট চাল ৫২.৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে।
কাস্টমস একটি সুত্র জানায় গত ১১ সেপ্টম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ১২৫ মে.টন চাল ভারত থেকে আমদানি হযেছে। ১২ সেপ্টেম্বর ২ হাজার ২৪০ মে.টন , ১৩ সেপ্টম্বর ২ হাজার ৭৫৯ মে. টন ও ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে পর্যন্ত ২ হাজার ৫৭০ চাল আমদানি হযেছে। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার শওকাত হোসেন জানান, ভারত বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ করে দিচ্ছে এমন ধরনের কোন খবর আমাদের কাছে নেই। উড়ো খবর পাওয়ার পর আমরা ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনারের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে সংবাদটি মিথ্যা ও বাটোয়াট। এটা এক ধরনের অপপ্রচার। বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য এটি একটি অপকৌশল মাত্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন