শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সুপ্রিমকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য - কামরুলের পর নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা মোজাম্মেলের

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৪ এএম, ১৫ মার্চ, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিমকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক-মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আদালতের জারি করা রুলের লিখিত পৃথক জবাবে এই দুই মন্ত্রী ক্ষমা চান। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ খবর দিয়েছে।
জানা গেছে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গত রোববার তাঁর আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন। গতকাল সৈয়দ মামুন মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, কামরুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তিনি দেশে না থাকায় আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। আগামীকাল খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আদালতের হাজির হওয়ার নির্ধারিত দিন।
এদিকে গতকাল বিকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক-মন্ত্রীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জমা দেন চৌধুরী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। আর তার পক্ষে আদালতে শুনানি করবেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী লিখেছেন, মহামান্য প্রধান বিচারপতির দপ্তর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা আমি পোষণ করি না। কারণ এই দপ্তর সম্পর্কে কোনো বিরূপ মন্তব্য বিচার বিভাগকে আঘাত করার শামিল। অতএব আমি আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বক্তব্যে স্তম্ভিত হয়ে তাঁদের তলব করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম শুরু করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। রুলের লিখিত জবাব দাখিলের সোমবারই ছিল শেষ দিন। ওই রুলের ওপর আজ মঙ্গলবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিন ওই দুই মন্ত্রীকে স্বশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দেন আদালত।
গত ৬ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর আপিল মামলা পুনঃশুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পরে দুই মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে আইন অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন