প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের তীব্র সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট রুহানি এ কথা বলেন। ইরাক-ইরান ১৯৮০-৮৮ যুদ্ধের বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রুহানি বলেন, কেউ পছন্দ করুক আর না করুক ইরান সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে। যেটা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য জরুরি। তিনি বলেন, ইরান শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করবে না, পাশাপাশি বিমান, সমুদ্র ও সেনা বাহিনীকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যখন দেশের প্রতিরক্ষার বিষয় নিয়ে ভাবনা-চিন্তার সময় আসবে, তখন আমরা অন্যদের অনুমতির অপেক্ষা করবো না। অপরদিকে ২০০০ কিমি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরান। গতকাল শুক্রবার নতুন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করা হলো। প্রতিরক্ষা সপ্তাহের প্রথম দিনে তেহরানে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খুররমশহর নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করা হয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ ইসলামী প্রজাতন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। একাধিক ওয়ারহেড বা বোমা বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র খুররমশহর দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। এ তথ্য জানিয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিমানমহাকাশ বা অ্যারোস্পেস ডিভিশনের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ। কুচকাওয়াজের অবকাশে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি আকারে আগের চেয়ে তুলনামূলক ছোট এবং আরো অধিকমাত্রায় কৌশলগত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি অভিযান চালানোর উপযুক্ত হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি। এদিকে কুচকাওয়াজে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, কোনো শক্তিই ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ইরান নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়াবে বলে ঘোষণা করে তিনি আরো বলেন, ইরানের প্রতিরক্ষার জন্য কারোই অনুমতি নেয়ার কোনো দরকারই নেই। পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন