শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অর্থনীতির হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে একযোগে কাজ করতে হবে- নৌপরিবহন সচিব

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ চট্টগ্রাম বন্দরকে অর্থনীতির হৃদপিন্ড উল্লেখ করে বলেছেন, মানুষের হৃদপিন্ড অকেজো হয়ে গেলে বাঁচতে পারেনা। ঠিক তেমনি চট্টগ্রাম বন্দর অচল হলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের অর্থনীতির স্টিয়ারিং চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে সকলকে একসূত্রে একলক্ষ্যে কাজ করতে হবে। গতকাল (শনিবার) বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত ১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দর সার্বক্ষণিকভাবে (২৪/৭) সচল রাখতে এর অগ্রগতি পর্যালোচনায় বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নৌ পরিবহন সচিব আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এক সেকেন্ডের জন্য বন্দরের কাজ থেমে থাকতে পারবে না। সকলকে মেধা, বুদ্ধি, জ্ঞান নিয়ে জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যকে গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা, কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হলে বন্দরের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। একইভাবে সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার দায়িত্ব আছে। এরমধ্যে যে কোন একটি সংস্থা কাজ না করলে সক্ষমতা বাড়বে না।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দিলেও ছুটির দিনে সবাই কাজ করছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে কেউ কাজ করছে, কেউ করছে না। বন্দর-কাস্টমস খোলা থাকলো আর ব্যবহারকারীরা আসলো না। তাহলে তো কোন লাভ হলো না। তিনি বলেন, সবার জ্ঞান, বুদ্ধি এবং প্রজ্ঞা থাকলেও আন্তরিকতা ও কমিটমেন্টের অভাব রয়েছে। নৌ পরিবহন সচিব বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭১ ধাপে রাখতে চাইনা। সাংহাই, সিঙ্গাপুরের দিকে নিয়ে যেতে চাই। বন্দর ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেন, বন্দরে জেটির স্বল্পতা থাকলেও ১০ বছরে জেটির সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। চবকের মাস্টারপ্ল্যান নেই। অপারেশনের কার্যক্রম চালাতে চবক বোর্ডকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। স্ক্যানারের কারণে মালামাল খালাসে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কাস্টমে লোকবল বাড়ানো হলে কাক্সিক্ষত ফল আসছে না। তারা বলেন, ইকুইপমেন্ট স্বল্পতার কারণে ডেলিভারী ধীরগতি হচ্ছে। বন্দরে জাহাজের মালামাল খালাসে দীর্ঘসূত্রতার কারণে লাখ লাখ টাকা ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। অফডকে কন্টেইনার রাখার জায়গা নেই। আলাদা জায়গায় খালি কন্টেইনার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন