শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

মহানবীর সা. ধারাবাহিক জীবনী

| প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


কাজা ওমরাহ পালন
হযরত আনাস (রা.)-এর বর্ণনায় একথাও উল্লেখ রয়েছে যে, কবিতা আবৃত্তি শুনে হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, ওহে রওয়াহার পুত্র, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে হারাম শরীফে কবিতা আবৃত্তি করা হচ্ছে?
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ওহে ওমর, তাকে আবৃত্তি করতে দাও। ওদের মধ্যে এর প্রভাব তীরের চেয়ে অধিক কার্যকর।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলমানরা তিন চক্কর দৌড় দিলেন। মোশরেকরা দেখে বলল, মদীনায় জ্বর যাদের কাবু করেছে মনে করেছিলাম, ওরা তো এমন এমন লোকের চেয়েও বেশি শক্তি রাখে দেখছি।
তাওয়াফ শেষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফা-মারওয়ার মাঝখানে সাঈ করলেন।
আর রাহীতুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী
দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম
প্র:- এক লোক একা একা ফরয নামায পড়ছিলো; এমন সময় ঐ নামাযেরই জামাআত কায়েম হলো; তখন তাকে কী করতে হবে?
উ:- ফজর এবং মাগরিব নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে এসে শামিল হবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকলে ঐ নামাযই পূর্ণ করবে। আর যোহর-আসর-এশার নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে এসে শামিল হবে। আর যদি দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকে তাহলে মধ্যবর্তী বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে ফেলবে এবং জামাআতে এসে শামিল হবে। যাতে ঐ দুই রাকাত নফল হিসাবে গণ্য হয়। আর যদি যোহর-আসর ও এশার তিন রাকাতের সময় জামাআত কায়েম হয় এবং সে তৃতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকে তাহলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শামিল হবে। আর তৃতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকলে নিজের নামাযই পূর্ণ করবে। এরপর জামাআতের সাথে নামায পড়লে নফলের সওয়াব পাবে। তবে আসর-মাগরিব এবং ফজরের নামাযের ক্ষেত্রে নিজের নামায শেষ করার পর আবার জামাআতে শামিল হওয়া ঠিক হবে না। কারণ আসর এবং ফজরের পর নফল নামায নেই। আর মাগরিব নামাযের পর এইজন্যে পড়া যাবে না যে, মাগরিব নামায তিন রাকাত। আর তিন রাকাত বিশিষ্ট কোন নফল হয় না।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন