ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন
ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, খুনি সু চি যে খুটার জোরে নাচছে সে খুটাকে উপড়ে ফেলতে হবে। সু চি আমেরিকা ও ভারতের জোরে মুসলিম গণহত্যায় মেতে উঠেছে। ভারত ও আমেরিকা সু চিকে রক্ষা করতে পারবে না। বিশ্বের মুসলমানরা জেগে উঠেছে। আল্লাহদ্রোহী শক্তিগুলোকে ধ্বংস করে ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলকে নিরাপত্তা জোন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তারা বলেন, আরাকানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যাকারী সামরিক জান্তা ও অং সান সু চির আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত¡রে ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকির খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকির হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসেন তালুকদার, মহানগর পূর্ব সভাপতি সৈয়দ ফিরোজ, শহিদুল ইসলাম, রেদওয়ান, একরাম হোসেন, প্রমুখ।
মাওলানা ফখরুল ইসলাম বলেন, রাখাইন রাজ্যে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নির্মম গণহত্যা চলছে তা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই গণহত্যার ধিক্কারের পরেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তাদের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করেনি, তাই রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় সরকারকে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত এবং মুসলিম বিশ্বকে নিয়ে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় শিবিরে গেলে যে কোন মানবাত্মাই শিহরিত হয়ে উঠবে। তিনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের সর্বাত্মক সহযোগতার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।
মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুূঁইয়া বলেন, মিয়ানমারে যখন মুসলমানদের রক্ত ঝড়ছে অবিরাম, তখন মিয়ানমার থেকে চাল কিনার অর্থই হলো কাটা গায়ে নুনের ছিটা দেয়া এবং মুসলমানদের রক্ত পান করানো। অবিলম্বে অথর্ব মন্ত্রী কামরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করছি।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ কামাল হোসাইন বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দু:খ দুর্দশা সহ্য করার মত নয়। আরাকানকে স্বাধীন করে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি আরব বিশ্বের নিরবতার সমালোচনা করে বলেন, আরববিশ্বকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই
চালসহ দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। এক বিবৃতিতে বলেন, মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানান যায়। যা রীতিমত দেশবাসীর উদ্বেগের কারণ। তিনি বলেন, সরকারের মদদে কতিপয় আড়ৎদার সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। প্রতিকেজি চালের দাম ৭০/৭২ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে, অপরিদকে মোটা চালের দামও ৫০/৫৫ টাকা কেজি। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। রাজধানী ঢাকার কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়। একই মানের চালের দাম একেক বাজারে একেক রকম। পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের সামঞ্জস্য নেই। মিল নেই এক দোকানের সাথে পাশের দোকানের। যে যার মতো করে দাম হাঁকছেন। ইচ্ছে মতো ক্রেতার গলা কাটছেন। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে যদি হয় অবস্থা তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন