শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিজামীর একমাত্র সাজা হতে পারে মৃত্যুদন্ড

প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় মৃত্যুদ-ই হতে পারে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর একমাত্র সাজা। মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজামী সারা দেশ ঘুরে ঘুরে আলবদর বাহিনী সংগঠিত করেন এবং বিভিন্ন বক্তব্যে তাদের পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগিতার আহ্বান জানান বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে উল্লেখ করা হয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া নিজামীর পূর্ণাঙ্গ রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ থেকে এসব মন্তব্য এসেছে।
গত ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এই রায়ের সংক্ষিপ্ত সার জানিয়ে দেন। ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় লিখেছেন এ বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
রায়ে বলা হয়, অপরাধের মাত্রা অনুসারে যথাযথ সাজা দেওয়া আদালতের একান্ত দায়িত্ব। সাযুজ্যহীন কম সাজা কেবল ভিক্টিমের অন্যায্যতার সৃষ্টি করে না, বরং কখনো কখনো পুরো সমাজের প্রতিও করে। গণহত্যা, ধর্ষণ, বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং অন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের সবগুলোই ভয়ঙ্করভাবেই নিষ্ঠুর। এই ধরনের বর্বর, নিষ্ঠুর অপরাধে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতায়ও কেবল মৃত্যুদ- ন্যায়বিচার হতে পারে। ‘মৃত্যুদ- কমানোর মতো কোনো সুযোগ এ মামলায় নেই, বরং বাড়ানোর পরিস্থিতি রয়েছে,’ বলা হয় রায়ে।
এছাড়া একাত্তরের মধ্য নভেম্বরে প্রকাশিত নিজামীর একটি প্রবন্ধের কথা বিশেষভাবে উঠে এসেছে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে। ওই লেখাকে উদ্ধৃত করে রায়ে বলা হয়, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানের কিছু বিশ্বাসঘাতক ভারতের পক্ষ হয়ে পাকিস্তানকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে পাকিস্তানের আদর্শ ও অস্তিত্বকে রক্ষা করতে হবে।’ সেই সময় পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের সহযোগী আলবদর বাহিনীর বিভিন্ন অপরাধের কথা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়, এই সব নারকীয়তা সম্পর্কে সেই সময়ে ‘অত্যন্ত সক্রিয়’ রাজনৈতিক নেতা নিজামী পূর্ণ জ্ঞাত ছিলেন।
রায়ে বলা হয়, আলবদর বাহিনীতে কর্তৃত্ব থাকার পরও তিনি তাদের নিবৃত্ত না করে উৎসাহ দিয়েছেন, পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করার আহ্বান করেছেন। আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে এটা মীমাংসিত বিষয় যে, অধীনস্থদের জন্য ঊর্ধ্বতন দায়ী থাকে। ‘এটা ভালোভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি বাউশগাড়ি, ডেমরা ও রূপসী গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪০০ বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যায় পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগিতা করেছেন এবং নিজে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিয়েছেন।’
নিয়ম অনুযায়ী আসামিপক্ষ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে। রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার আগে দ- কার্যকর করা যাবে না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Sorif ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০২ পিএম says : 0
everybody know that
Total Reply(0)
আল আমিন ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১:২২ পিএম says : 0
জীবন মৃত্যুর মালিক আল্লাহ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন