বিএনপির সঙ্গে সংলাপে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন: প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রশংসায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা যেসব কথা বলেছেন তা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সিইসির কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন। এর আগে বিশ্ব খাদ্য দিবসের সেমিনারে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে এটি সিইসির একটি কৌশল হতে পারে। বিএনপির এখন খুশি খুশি ভাব। এটা যেন নির্বাচন পর্যন্ত বজায় থাকে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করি, অনুগ্রহ নয়।
সিইসির মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ জানতে চাইবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (সিইসি) এটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেননি, বলেছেন ভেতরে। আমরাও মিটিংয়ে যাবো। তখন আমরা জানতে চাইব তিনি আসলে কী বলেছেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সংবিধানের বাইরে অবাস্তব অবান্তর প্রস্তাব দিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত না করতে বিএনপির প্রতি আহŸান জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা নিয়েও বিএনপি প্রশ্ন তুলেছিল। বিএনপি নির্বাচন কমিশনে সংলাপে অংশগ্রহণ করায় সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শেষ করে খোশমেজাজে ছিল। কিন্তু তাদের খোশমেজাজ শেষ পর্যন্ত যেন থাকে।
বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে হাছান বলেন, বিএনপি বলেছে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। কিন্তু সংবিধানে তো নেই সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। আপনারা চান সেনাবাহিনী দিয়ে পুলিশের কাজ করাতে। সেনাবাহিনীর একটা সুনাম আছে। তাদের সুনাম, মানমর্যাদা নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। তাদের দিয়ে পুলিশ যে দায়িত্ব পালন করে সে দায়িত্ব পালন করানোর চেষ্টা করবেন না। তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়। সরকার শুধু রুটিন অনুযায়ী কাজ করবে। তাই সকল রাজনৈতিক দলের সংলাপ নির্বাচন কমিশনের সাথে হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুল হক টুকু, সানজিদা খানম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, অভিনেতা হাসান ইমাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন