কারা ফটকেই আবার গ্রেফতার হচ্ছেন এমন গুজবের মধ্যেই এক মাসেরও বেশি সময় কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় বগুড়া কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শোকরানার নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অংগদল সমুহের নেতা কর্মিরা তাকে ফুলের মালা পরিয়ে ও ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে বরন করে । এরপর কারা ফটক থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল সহকারে সরাসরি তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি তার নিজ বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছেন বলে পারিক সুত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বিরোধি আন্দোলনে হরতাল-অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসুচি চলাকালে ভিপি সাইফুল ইসলামের নামে মোট ৭টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলার কারনে ভিপি সাইফুল প্রথমে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ২টি মামলায় ২১ সেপ্টেম্বর বগুড়ার পৃথক দুটি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। একটি আদালতে একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর ও অপর আদালতে আরেকটি মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর হয়। আদালতের নির্দেশে ওই দিনই তাকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। এর একদিনের মাথায় তাকে রাতের অন্ধকারে বগুড়া কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ বিশেষায়িত কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ভিপি সাইফুলের নামে বিস্ফোরক আইনের ধারায় আরো দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার আদালতে একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেও অপর আরেকটি মামলায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত।
১৮ অক্টোবর হাইকোর্টে বিচারপতি ওবায়দুল হক ও বিচারপতি কৃষ্ণ দে-এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে ভিপি সাইফুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। জামিনের কাগজ পত্র বুধবার বগুড়ায় পৌঁছুলে তার আইনজীবীরা বেল বন্ডে স্বাক্ষর করার পর বগুড়া কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কাগার থেকে মুক্তি দেয়। অবশ্য কারা ফটকের বাইরে আসার পর ভিপি সাইফুলকে আবার গ্রেফতার করবে পুলিশ , এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল বগুড়ায়। কারামুক্তির পর আবেগাপ্লুত কন্ঠে ভিপি সাইফুল, তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে যারা আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা হামলা , মারধরের শিকার হয়েছেন , তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন