ল²ীপুরে বিএনপি-যুবদলের ১৯ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে প্রেরণ
ল²ীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ১৯ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ল²ীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি জসীম উদ্দিন ও আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে কেরোয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিরাজ হোসেন পাটোয়ারীকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের মা রানী বেগম বাদী হয়ে ৪০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ৩৯জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে ২ মাসের জামিন পান আসামিরা। ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারিতে নি¤œ আদালতে হাজির হয়ে আবারো জামিন চাইলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। একই বছরের ৩ ফেব্রæয়ারি হাইকোর্ট থেকে পুনরায় ৬ মাসের জামিন পান তারা। পরবর্তীতে আদালতে হাজির না হওয়ায় হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে একই আদেশ বহাল রাখেন আদালত।
জামিন নামঞ্জুরকৃত নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন, পৌর যুবদলের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, পৌর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম নাজু বয়াতী, কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম পাটওয়ারী, বিএনপি নেতা আবুল হাশে মিয়াজী, শাহজাহান ড্রাইভার, আবু নেওয়াজ টিপু, নুরুল আমিন আঠিয়া, ইকবাল আঠিয়া, মন্নান, ইউসুফ আঠিয়া, যুবদল নেতা শ্যামল, বাচ্চু, পারভেজ, শাকিল, মোহাম্মদ আলী, আরমান, সোহাগ মিঝি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী সাবেক পিপি রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সম্পূর্ণ হয়রানির উদ্দেশ্যে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে ওই মামলা জড়িয়েছে। আইনী প্রক্রিয়াতেই আমরা নেতাকর্মীদেরকে মুক্ত করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন