শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনীতি

বিএনপি সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছে -প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:৫৬ পিএম | আপডেট : ৪:৪১ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বিএনপি সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারসহ আরও কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী এদেশের মানুষ নির্যাতন ছাড়া আর কিছুই পায়নি। বার বার মার্শাল ল জারি করে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। দুর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ২১ বছর আমরা আবার ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার রেখে যাওয়া উন্নয়ন কাজ আবার শুরু করি। কিন্তু, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এসে সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়।
তিনি বলেন, বিএনপির সময় দেশ ছিল সন্ত্রাস-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিএনপির সময় দেশ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। তারা জনগণের সম্পদ লুট করেছে।
এক এগার সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনা সমর্থিত সরকারও ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের একটি চরিত্র আছে। তা হলো উন্নয়ন বন্ধ করে দেয়া। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। আন্দোলনের নামে জালাও-পোড়াও করেছে। আর ২০১৫ সালে বিএনপি সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছে। প্রতিশোধ নিতে তারা মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammed Shah Alam Khan ২৬ অক্টোবর, ২০১৭, ৩:০০ পিএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এখানে যা বলেছেন সেটা ১১০% সঠিক বলেছেন। আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমার দৃষ্টি কোন থেকে বলতে গেলে বলতে হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ আ’লীগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে; তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে এখন আর তার পিছনে যাবার উপায় নেই। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে হয় তাদেরকে চাপা খেয়ে শেষ হয়ে যেতে হবে নয়ত রুখে দাঁড়াতে হবে। আবার রুখে দাঁড়াতে হলে সন্ত্রাসী কায়দায় সন্ত্রাসকে প্রতিহত করতে হয় নয়ত নীরব বিপ্লবের মাধ্যমে মানে অন্ধকারে ভোটের মাধ্যমে সন্ত্রাসকে দমন করতে হবে। কাজেই আমি নিশ্চিত ভোট নিরপেক্ষ হলে মানে সন্ত্রাস মুক্ত হলে আ”লীগকে কুমিল্লার মত জীত জিততে হারতে হবে এটাই মহা সত্য। আমি জননেত্রীর উদ্দেশ্যে আরো বলতে চাই যারা ভাল মানুষ আ’লীগকে সমর্থন করেন তারাও এবার অন্ধকারে নিজের নীতির বাইরে ভোট দিবেন এটাই মহা সত্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে নেত্রী হাসিনা প্রথমে ছাত্রদেরকে তার পক্ষে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তাই এখন ছাত্র ও যুব সমাজ তার পক্ষে। ফলে এখন নেত্রী হাসিনা একছত্র আধিপত্য করে যাচ্ছেন। কিন্তু নেত্রী হাসিনা যদি সরকারকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে নিতে সক্ষম হতেন তাহলে আ’লীগকে সন্ত্রাসের পথ ধরতে হতনা এটা বিশ্বাস যোগ্য না হলেও অভিজ্ঞ মহল এটাকে সত্য বলছেন। সন্ত্রাস করেও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত পেতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন তাই আ’লীগকে কুবকাত করার জন্যই সরকারের একটা বৃহৎ অংশ সরকারী দলের অপকর্মকে না দেখার ভান করে ছেড়ে দিচ্ছে আর দল জনগণের কাছে পচে যাচ্চে এটাও অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। আর এটা যে, দলের জন্য কত বড় ক্ষতিকারক এটা নেত্রী হাসিনা আমলে নিচ্ছেন না কারন জামাতকে প্রতিহত করার জন্য চাই বাহু বল তাই............। নেত্রী হাসিনা এখন বিএনপি দলের সত্য অপকর্ম গুলোকে জন সম্মুখে আনছে এবং প্রকাশ্যে জনসাধারণের দুর্বল করে দলে টানছেন এটাই সত্য। তবে কথা হচ্ছে তার এই কথা কতটা কার্যকর হবে সেটাই ভাবার বিষয় তাইনা??? জনগণ নেত্রীর এসব কথা বিশ্বাস করেন এবং প্রকাশ্যে সমর্থন দেন ঠিকই কিন্তু আন্ধকার ঘরে কি করবে সেটা বুঝতে দিচ্ছে না এটাও সত্য। তাই দল এখন বিশ্ববাসীর দৃষ্ট আকর্ষণ করে দেখাচ্ছে জনগণ তার পক্ষে বিএনপি দলের বিপক্ষে এটা প্রমান করছে আর ভিতরে ভিতরে প্রস্তুত হচ্ছে অন্ধকারে যাতে কেহ ভোট দিতে না পারে তাহলেই আ’লীগের জয় নিশ্চিত। আর তাই আ’লীগ ভোট কেন্দ্র তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের সহযোগিতা পাবার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে হাতে নিয়ে জয়যুক্ত হবে এটাই অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। সামনে কি হয় এটা সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই। আমীন
Total Reply(0)
নূর- মোহাম্মদ ২৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১০:৩৩ পিএম says : 1
আল্লাহর অশেষ কৃপায় এবার( তৃতীয় বার) হজ্বে ছিলাম। তাই অনেক দিন লিখতে পারি নাই। হজ্বের পর এটাই প্রথম লিখা। মাননীয় প্রধান মন্রী বললেন, বিএনপি সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে। হাঁ জননেত্রীর কথটি ১০০% সত্য। জনগন মনে করে, বিএনপির এই চেষ্টা শত ভাগ বৈধ। কেননা '১৪ এ জনগন ভোট দিতে পারে নাই। তাই সরকারের নৈতিক শক্তি একেবারে দূর্বল। আপনি নির্বাচনটিকে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বলেও অদ্যবর্তী বাতিল করেন নাই। এই খেলাপের জন্য বিরুধীরা হয়ত বাকা চেষ্টা করতে পারে। তাই বঙ্গ বন্ধুর কণ্যাকে অনুরোধ করছি। কথা রাখুন। জনগনকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিন। হে জনগনের মানষ কণ্যা! যে সব এমপিদের নিয়ে আপনি পবিত্র সংসদে বসে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করছেন, তারা যে জনগণের ভোট ছাড়া আসলো এটা কি আপনার সুবিবেচনাকে নাড়া দেয় না? যদি নাড়া দেয়, এখন ই গণতন্র ফিরে দিন। জনগনকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া সুযোগ দিন। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন