সিলেটে গত এক সপ্তাহে তিন দফায় দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। এই সময়ে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ১৬ টাকা করে দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহ আগে সিলেটের পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকায়। তবে গতকাল রোববার সিলেটের পাইকারী বাজার ঘুরে দেখা গেছে আকৃতিবেধে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। খুচরা বাজারে পেয়াজের দাম আরও বেশি। কোথাও কোথাও ৬০-৬৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ।
সিলেটের ব্যবসায়ীরা জানান, চাপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ, ডুমরা, বেনাপোল, হিলি এই চার বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসে। কিন্তু সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানি পর্যাপ্ত না থাকায় গত এক সপ্তাহে তিন দফায় দাম বেড়েছে। এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব ফেলেছে। তবে দাম বাড়ার বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে খুচরা বিক্রেতারা প্রায় দ্বিগুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
সোনা মসজিদ থেকে সিলেটের পাইকারি বাজারে পেয়াজ সরবরাহকারী ব্যাপারী আব্দুল মজিদ জানান, ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে পেঁয়াজ আমদানি না থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহে তিন দফায় দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি। তবে আমদানি পর্যাপ্ত পরিমানে শুরু হলে আবার দাম কমবে বলে জানান তিনি।
কালিঘাটের পেঁয়াজের পাইকারী বিক্রেতা নিলাঞ্জন দাশ টুকু বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়েছে। রোববার ৪৮ টাকা থেকে শুরু করে পেঁয়াজের ধরণের উপর ভিত্তি করে পাইকারি বাজারে ৫২ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিন কালিঘাট পেঁয়াজের আড়ত, রিকাবি বাজার, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, ব্রহ্মময়ী বাজা ঘুরে দেখা যায় পাইকারি বাজারে পেয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৫২ টাকা করে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আবার নগরীর কয়েকটি আবাসিক এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, কোন কোন দোকানে ৬৫ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের কেজি।
নগরীর মদিনা মার্কেটের একটি দোকান থেকে পেঁয়াজ কেনা আলমগীর হোসেন বলেন, এক কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দিয়ে কিনেছি । ইচ্ছেমত দাম বাড়িয় দিচ্ছে বিক্রেতারা। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকা বিক্রি হওয়ার মতো বাড়েনি। এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং এর চারটি টিম ইতিমধ্যে কাজ করছে। পেঁয়াজের দম যেহেতু বেড়েছে সুতরাং পেয়াজের বিষটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তাছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের মনগড়া দাম আদায় বন্ধ করতে ক্রেতাদেরও সচেতনতার প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন