শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হাতিয়াদ্বীপের উত্তরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা মেঘনা নদীগর্ভে

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হাতিয়া উপজেলা মূল ভূখন্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা মেঘনা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। হাতিয়া পুরাতন শহর, হরণী ও চাঁনন্দী ইউনিয়নের অস্তিত্ব বিলীন হয়েছে তিন দশক পূর্বে । গত দুই দশকে সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হবার পর এবার চরকিং ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের বিশাল এলাকা বিলীন হবার প্রহর গুনছে। ১৯৮৯ সালে হাতিয়া বাথানখালী থেকে আফাজিয়া বাজারের দূরত্ব ছিল আট কিলোমিটার। বর্তমানে আফাজিয়া বাজার থেকে মাত্র দুইশত গজের মধ্যে রাক্ষুসী মেঘনা অবস্থান করছে। আফাজিয়ার ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদটি আগামী দু’এক দিনের মধ্যে মেঘনায় তলিয়ে যাবে। দুর দূরান্ত থেকে শত শত মুসল্লী মসজিদটি শেষ বারের মত দেখার জন্য ভিড় করছে। উল্লেখ্য, হাতিয়ার বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন, রাজনীতিবিদ এবং সাবেক এমএনএ মরহুম মাওলানা এ, এইচ,এম আবদুল হাই ১৯৭৮ সালে আফাজিয়া জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।
হাতিয়া নলচিরা ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চল, চরঈশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চল, তমরদ্দি ইউনিয়ন এবং সোনাদিয়া ইউনয়নের পশ্চিমাঞ্চলে ভাঙ্গন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে নিঝুমদ্বীপের প্রবেশ পথ জাহাজমারা ইউনিয়নের মোক্তারিয়া ঘাটে ভাঙ্গন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। অর্থাৎ গত এক দশক হাতিয়া মূল ভূখন্ডের ১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে । তেমনিভাবে মূল ভূখন্ডের উত্তরে হরণী ও চাঁনন্দী ইউনয়নে গত পাঁচ বছর অন্তত ৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়েছে। উল্লেখ্য, হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন রোধকল্পে এযাবত স্থায়ী কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি । ফলে উত্তাল ও খর স্রোত মেঘনার দয়ার উপর নির্ভর করছে হাতিয়া মূল ভূখন্ডের ভবিষ্যত।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস ইনকিলাবকে জানান, আমি ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি ডিও লেটার প্রেরণ করি । যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে হাতিয়া উপজেলার নলচিরা, সুখচর, চরঈশ্বর, হরনী ও চাঁনন্দী ইউনিয়নে ৮ কিলোমিটার বøকবাঁধ নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন । পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ২টি বিভাগ গত এক বছর যাবত জরীপ চালিয়ে ২টি ডিপিপি প্রস্তুত করেন। এরমধ্যে হরণী ও চানন্দীতে ১০৭ কোটি টাকা এবং সুখচর, নলচিরা ও চরঈশ্বর ডিপিপিতে ৩৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করেন। আশা করি বরাদ্দ পাওয়া গেলে আগামী বছরের শুরুতে বøক বাঁধ নির্মাণ শুরু হবে। আর এতে করে হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন