চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ব্যবসায়ীদের দুটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয় অন্তত ৩ জন। তারা সবাই মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ ও গৌরাঙ্গ বাজারের ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ডাকাতরা প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে যায়। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাট এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে আক্কাস শেখ ও উজ্জল মাঝিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ট্রলারে থাকা আহত ব্যবসায়ী হাকিম আলী গাজী জানায়, মেঘনা নদীর সফরমালী লঞ্চঘাটের কাছে আসলে স্প্রীডবোট নিয়ে ৮-৯ জন মুখোশধারী কাটারাইফেল, শটগান, রামদা ও রড নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা লুটে নেয়। সাথে আমাদের মোবাইলগুলোও নিয়ে যায়। পরে তারা মেঘনা নদীর উত্তর দিকে চলে যায়। ওদের গায়ে লাইফ জ্যাকেট ছিল।
মুদি ব্যবসায়ী আক্কাস শেখ জানায়, আমার কাছে ৯ লাখ টাকা ছিল। টাকা দিতে দেরি করায় রড দিয়ে আমার হাত ভেঙে ফেলে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়। তেলের ডিলার ব্যাপারী ট্রেডার্সের মালিক আতাউর রহমান সবুজ জানায়, তার টাকা ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার, তেলের ডিলার নাইমা ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ হোসেনের ৩ লাখ ১১ হাজার, মরিচের পাইকার খোকন মেম্বারের ৩ লাখ ১০ হাজার, গৌরাঙ্গ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী কামাল মল্লিকের ৩ লাখ ১৫ হাজার, রহমআলী গাজীর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা যা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এসপি কামরুজ্জামান জানায়, আমি খবর পেয়ে সাথে সাথে চাঁদপুর সদর ও মোহনপুর নৌ-পুলিশের ওসিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরপর নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপিকেও পাঠিয়েছি। ব্যবসায়ীদের মিসিং মোবাইলের নম্বর আমার কাছে চলে আসছে, আমি সেগুলি নিয়ে ডাকাতদের ধরার বিষয়ে যা যা করনীয় সবই করছি। আশা করি ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হবো।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা চাঁদপুর নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপি বেলায়েত হোসেন জানায়, ডাতাতদের ধরার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজই আমরা শুরু করে দিয়েছি। তবে এই ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের যোগসাযোস থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে এতো টাকা নিয়ে নৌ-পথে মোকামে গেলে আমাদের সহযোগীতা নিলে আপনাদের জন্য সহজ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন