মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফুলপুরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৩ ছাত্রী

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ও ফুলপুর ইউনিয়নে গতকাল সোমবার ৩ টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী। ইউএনও’র জন্য বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ৩ ছাত্রী। জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া আক্তার সুমি(১৬) এর সাথে হালুয়াঘাট উপজেলার বাহির শিমুল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে রুবেল মিয়ার বিয়ে দেয়া হচ্ছিল এবং কাজিয়াকান্দা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ফাতেমা আক্তারের বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি চলছিল। অপর দিকে পয়ারী ইউনিয়নের আব্দুল জলিল খাঁ নিজের নাবালিকা মেয়ে নাদিরা আকতার জুলি (১৫) কে বিয়ে দিচ্ছিলেন। ৩ টি বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পয়ারী ও ফুলপুর ইউনিয়নে কণেদের বাড়িতে ছুটে যান ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় ৩টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হন এবং উপস্থিত এলাকার সকলের সামনে বলেন সাদিয়া আক্তার সুমি, ফাতেমা আক্তার ও নাদিরা আক্তার জুলির বয়স ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়া যাবে না। তিনি বাল্যবিবাহ ও বাল্যবিবাহের কুফল স¤পর্কে সকলকে বলেন। পরবর্তীতে যদি উক্ত বিয়ের আয়োজন করা হয় এলাকাবাসী প্রশাসনকে খবর দিবে বলে জানান। ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর কারণে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল সাদিয়া আক্তার সুমি, ফাতেমা আক্তার ও নাদিরা আক্তার জুলি। এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে বলেন বাল্যবিবাহের জন্য বর, বরের অভিভাবক ও ঘটকদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তারা জেনে শুনে বাল্যবিবাহে রাজি হচ্ছে তাই তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। উল্লেখ্য যে, নাদিয়া আক্তার জুলি পয়ারী গোকল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। রোববার তার জেএসসি পরীক্ষা ছিল।এই বাল্যবিবাহের আয়োজনের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি। অপর দিকে সাদিয়া আক্তার সুমি আল হোমাইরা মাদ্রাসার ছাত্রী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন