শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মরা মুরগির গোশত পরিবেশনের অভিযোগ করায় রুমা হলেন মানসিক রোগী !

বগুড়ার শজিমেকে দুর্ব্যবহারের শিকার হল নারী

মহসিন রাজু , বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে এবার সেবিকার দুর্র্ব্যবহারের শিকার হল চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী রোগী । একই সাথে মরা মুরগীর গোশত পরিবেশনের অভিযোগ তোলায় তাকে বানানো হলো মানসিক রোগী !
বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও ঢাকার উত্তরার ইয়েন ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা রুমা পারভীন গত রোববার মেডিসিন বিভাগের অধীনে ৩১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন। ভর্তির পর এক সেবিকা তাকে রুমে নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি ওই সেবিকাকে বলেন, কয়েকটি রুম খালি রয়েছে। ওগুলোর মধ্যে একটা ভাল রুম বেছে নিতে চাই। রোগীর এধরনের বক্তব্যে ওই সেবিকা উত্তেজিত হয়ে তার সাথে মারমুখি আচরণ করেণ। এ সময় অন্যান্য সেবিকারা এসে উত্তেজিত ওই সেবিকাকে থামায় এবং একটি ভাল রুম দেন। আগের দিনের জের ধরে পরদিনও ওই সেবিকা ফাইল নিয়ে রুমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। এদিকে কেবিনে ভর্তির পর থেকেই খাবারের সাথে পরিবেশিত মুরগির দেখে তার মনে সন্দেহ হয় যে ওগুলো মরা মুরগির। সন্দেহের বিষয়টি গত মঙ্গলবার হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরীকে অবহিত করে তাকে ওই গোশত খেতে অনুরোধ করেন। উপ-পরিচালক তার সাথে একজন মাস্তান ধরনের কর্মচারীকে রান্না ঘরে পাঠালেও রান্না ঘরে গিয়ে ওই কর্মচারী মুরগির গোশত দেখানোর পরিবর্তে তার সাথে দুর্ব্যবহার করে। এদিকে রান্না ঘর থেকে ফিরে আসার পর উপ-পরিচারক নির্মলেন্দু চৌধুরী তাকে মানসিক রোগী হিসেবে উল্লেখ করে বকাবকি করেন। রান্না করা গোশতগুলো যে মরা সেটা কেন তার মনে হল জানতে চাইলে রুমা পারভীন বলেন, আমি ঢাকার উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে ২ নম্বর সড়কে একটি মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলে ৮ মাস সুপারভাইজারের দায়িত্ব পালন করেছি। সেখানেই আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে মরা মুরগি যেভাবেই রান্না করা হোক তাতে কোন মশলা প্রবেশ করবে না এবং খেতেও ভালো লাগবেনা। সে অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝেছি, শজিমেক হাসপাতালে পরিবেশন করা গোশত মরা মুরগির। তিনি বলেন, এখানে সে দেখছি এই হাসপাতালে রোগীদের খুবই নি¤œমানের খাবার দেয়া হচ্ছে।
রুমার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার ওই রোগী তার কাছে হাসপাতাল থেকে মরা মুরগির রান্না করা গোশত পরিবেশনের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। উপ-পরিচালক আরো বলেন, তার ধারনা ওই মহিলা মানসিক রোগে আক্রান্ত। বিষয়টি তার পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে। তাকে শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে শজিমেক হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ জানান, রুমা পারভীন তার অধিনেই চিকিৎসা নিয়েছেন। প্র¯্রাবজনিত সমস্যার কারণে আমার অধিনেই মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন । তাকে শজিমেক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে। তিনি মানসিক রোগী নন; তবে কিডনির কারণে তার ব্রেনে সমস্যা হতেও পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন