ল²ীপুর সংবাদদাতা : ল²ীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শো-ডাউনকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুসহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রস্তুতি সভাস্থলে ব্যাপক চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে ল²ীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, যুবলীগ কর্মী ফয়সাল, রাসেল, রণজিৎ, তাজু, ছাত্রলীগকর্মী সজিব, শাকিল, রাকিব ও শুভসহ ১০ জন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়,আগামী ২৯ নভেম্বর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ। উক্ত সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ বাজার গণ মিলনায়তনে দলের প্রস্তুতি সভা শুরু হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিজন বিহারী ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী মঞ্চে উপস্থিত হলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শ্লোগান দিয়ে শো-ডাউনের করে জেলা, উপজেলা নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। যুবলীগ নেতা মোরশেদ আলম ও ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলুর সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলু ও যুবলীগ নেতা মোরশেদ আলম একে অপরকে দায়ী করছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মোক্তার হোসেন জানান, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন