বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গুমের ঘটনা তদন্তে স্বাধীন কমিশনের দাবি আসকের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ৯:১৪ পিএম

আইন ও সালিশ কেন্দ্র জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের ঘটনা অস্বীকার না করে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মঙ্গলবার আসকের এক বিবৃতিতে গত আড়াই মাসে দশজন গুমের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, গত ২২ আগস্ট থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার ব্যক্তির নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।
এতে আরও বলা হয়, আসক মনে করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি চলতে পারে না। তাই আইন ও সালিশ কেন্দ্র এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা দাবি করছে। একইসঙ্গে, সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জোরপূর্বক অন্তর্ধানের বিষয়টিকে অস্বীকার না করে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে এসব ঘটনার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ইশরাক আহমেদ ফাহিম রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, তিনি ঈদের ছুটি শেষে কানাডায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সাংবাদিক উৎপল দাসকেও গত ১০ অক্টোবর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোবাশ্বার হাসান। সেদিন তিনি তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। এরপর ৮ নভেম্বর নিখোঁজ হন তানভীর ইয়াসিন করিম নামের একজন প্রকাশক।
বিবৃতিতে বলা হয়, গুমের সংখ্যা এই আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীদের দাবি সত্ত্বেও দেশের আইনে জোরপূর্বক অন্তর্ধানের বিষয়টিকে এখন পর্যন্ত আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। রাষ্ট্রের কোনও প্রকার সংশ্লিষ্টতাকে অস্বীকার করে এই ভয়াবহ অপরাধটিকে এখনও অপহরণ এর আওতায় সংজ্ঞায়িত করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করে এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা। এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন